রাজ্যে ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে তাঁর সরকারের খতিয়ান কী হবে, তা সম্প্রতি ঠিক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তৃণমূলের অন্দরেও সুর ঠিক করে দিলেন তৃণমূল নেত্রী। কালীঘাটের বৈঠক শেষে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কথাতেই সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট হল। রাজনৈতিক মহলের মতে, মূলত তিনটি সিদ্ধান্তে তৃণমূলের অন্দরে চাগার দেওয়া নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বের উপর কার্যত জল ঢেলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কালীঘাটের বৈঠকের পর জানা গিয়েছে, এদিন তিনটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক, জাতীয় কর্মসমিতিতে সংযোজনের তালিকা। দুই, সংবাদমাধ্যমের সমন্বয়ে অরূপ বিশ্বাসকে আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব দেওয়া এবং বিভিন্ন জনের কথা বলায় গণ্ডি টেনে দেওয়া। আর তিন, তৃণমূলের অন্দরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকাকে কার্যত গৌণ করে দেওয়া।
রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যে আগামী বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের অন্দরে একটা পরিষ্কার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। আর তা হল, ভবিষ্যতে দলের বাইরে বেফাঁস কোনও মন্তব্য তিনি সহ্য করবেন না। সেই কারণে তৃণমূল, সংসদ এবং বিধানসভা -- আলাদা ভাবে তিনটি শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি তৈরি করা হয়েছে। যার প্রত্যেকটি মাথায় রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের দাবি, এখানেই বোঝা যাচ্ছে ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের মুখ একজন-ই। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।