তৃণমূলের মুখপাত্র পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল প্রাক্তন সাংসদ তথা তৃণমূল নেতা শান্তনু সেনকে । গত কয়েক দিন ধরে আর জি কর কাণ্ডে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে শান্তনু সেনকে । যা দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছে । এবার তাঁকে মুখপাত্রের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল । শান্তনু সেন যে মুখপাত্রের পদে থাকছেন না, তার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বেহালায় প্রাক স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাঁঝালো কণ্ঠে বলেছিলেন, 'কয়েক জন বলছেন, তাঁরা মুখপাত্রের পদ ছেড়ে দিয়েছেন । জেনে রাখুন, আমরা তাঁদের আগেই সরিয়ে দিয়েছি।' নাম না করে শান্তনুর উদ্দেশেই যে কথাগুলো বলেছেন, এমনটাই ধারণা ছিল রাজনৈতিকমহলের একাংশের । এবার দলের তরফে পুরো বিষয়টা স্পষ্ট করে দিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার ।
তৃণমূলের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন,'তৃণমূল কংগ্রেসের যে মুখপাত্রদের তালিকা আছে, সেখান থেকে প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেন-কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে । দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে । বেশ কয়েকদিন আগেই তা করা হয়েছে । আর জি করের যে ঘটনা দেখেছেন, তা শুরু হওয়ার পর পরই অব্যাহতি দেওয়া হয় তাঁকে । এই বিষয়টি আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেহালার সভা থেকেই জানিয়েছেন । গত কয়েক দিনে তাঁর যে মন্তব্য মিডিয়ায় এসেছে, তা একান্ত ভাবেই তাঁর ব্যক্তিগত। দল সেইসব বক্তব্যের দায়িত্ব নেবে না । '
কী বলেছিলেন শান্তনু সেন ?
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে সরব হয়েছিলেন শান্তনু সেন । তাঁর অভিযোগ,'আরজি করে পড়াশোনাও একেবারে রসাতলে চলে গিয়েছে। প্রশ্ন জানা একেবারেই সহজ । শুধুমাত্র কয়েকজনকে খুশি করতে হবে । আর জি কর হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তনী আমার মেয়ে। কিন্তু আমার মেয়ে বলে একেবারে ওরা একঘরে করে দিয়েছিল। শুধুমাত্র ওই গোষ্ঠীর সঙ্গে ও যাবে না বলে। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে হয়তো ভুল বুঝতে পারেন, তবে সঠিক তথ্য তাঁর কাছে দেওয়া হচ্ছে না। আমার নৈতিক দায়িত্ব সেই তথ্য তাঁর কাছে পৌঁছে দেওয়া।' সন্দীপ ঘোঘ-কে নিয়েও বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন শান্তনুবাবু ।
যদিও, বুধবারই সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, আরজি কর ইস্যুতে যা বলার বলেছেন । আর কিছু বলবেন না। মুখপাত্র হিসাবে দলকে ডিফেন্ড করে এসেছেন । কিন্তু এ ক্ষেত্রে তাঁর বিবেকের তাড়না রয়েছে ।