ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টকে হাতিয়ার করে ট্যাংরা ঘটনার কার্যত সমাধান করল কলকাতা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, অংশু শূর লেনের ঘটনায় খুন করা হয়েছে দুই গৃহবধূ সুদেষ্ণা দে এবং রোমি দে। খাবার বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে নাবালিকা কিশোরীর।
ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরেই মৃত্যু হয়েছে দে পরিবারের দুই গৃহবধূর। রোমি দে-র দুই হাতের কব্জির শিরা কাটা অবস্থায় ছিল। গলায় ছিল একটি মাত্র কাটা ক্ষত। ধারালো কিছু দিয়ে তাঁর গলায় বাঁ দিক থেকে ডান দিকে এক বার আঘাত করা হয়েছে। সুদেষ্ণার দেহেও একাধিক ক্ষত চিহ্ন রয়েছে বলে ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
খাদ্যে বিষক্রিয়ার পাশাপাশি ১৪ বছরের কিশোরী প্রিয়ম্বদার শরীর থেকেও একাধিক ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, খাওয়ার তিন থেকে ছঘণ্টার মধ্যে এই তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনাকে ভীষণভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে লালবাজার।
বুধবার সকালে বাইপাসে মেট্রোর পিলারে ধাক্কা দেওয়া অবস্থা একটি গাড়ি উদ্ধার করে গড়ফা থানার পুলিশ। এরপর ধীরে ধীরে ঘটনা সামনে আসে। অংশু শূর লেনে গিয়ে তিন মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ দাবি করেছে, অভিষিক্তার ঘটনায় আহত প্রসূন দে-ই প্রথম এই ব্যাপারে পুলিশকে জানান।