কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে ৯২ জন টেট চাকরিপ্রার্থীর ইন্টারভিউ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রধান দফতরে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত এই ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, ১৬ নভেম্বর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পর্ষদ ওই ৯২ জনকে শংসাপত্র সহ নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেয়।
জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটে ৬ নম্বরের প্রশ্নটি ভুল ছিল। এরপরেই চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ ওই প্রশ্নে তাঁদের নম্বর বাড়ানো নিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে। তাহলে তাঁরা টেট-উত্তীর্ণ হতে পারবেন বলেও দাবি করেন ওই পরীক্ষার্থীরা। এরপর আদালতে প্রশ্ন ভুলের বিষয়টি স্বীকার করে নেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ফলে আদালতের নির্দেশ পেতেই বাড়ানো হয় নম্বর। পরবর্তীতে গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্ষদকে ওই ৯২ জনের ইন্টারভিউ নিতে নির্দেশ দেন। কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশ মেনেই এদিন ইন্টারভিউতে ডাকা হয় তাঁদের।
২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং প্রশিক্ষণবিহীন, এই দুই ধরনের পরীক্ষার্থীরাই উত্তীর্ণ হন। কিন্তু ওই ৯২ জন আদালতে নিজেদের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বলে দাবি করেন। তাঁদের প্রশ্ন ছিল, প্রশিক্ষণ-বিহীনরা চাকরি পেলে তাঁরা কেন বঞ্চিত হবেন। এরপরেই ২০২০ সালের বাকি শূন্যপদগুলি পূরণের জন্য ওই পরিক্ষার্থীদের ইন্টারভিউ নেওয়ার নির্দেশ দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।