শক্তি হারিয়েছে নিম্নচাপ । টানা বৃষ্টির হাত থেকেও রেহাই পেয়েছে বঙ্গবাসী । অবশেষে মেঘ সরে শরতের নীল আকাশ উঁকি মারছে । এদিকে, বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই মিললেও গরম বাড়ছে । সকাল থেকেই কড়া রোদ । বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বাড়ছে । আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপ সরলেও আবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে । ভাসতে পারে ৫ জেলা ।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে । শুক্রবার বজবিদ্যুৎসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে ৫ জেলায় । তার মধ্যে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম । শনিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই রাজ্যে ।
পার্বত্য এলাকায় আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে । হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে । উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে । তাপমাত্রা বাড়বে ।
কলকাতার আকাশ থাকবে মূলত পরিষ্কার । বিকেলের দিকে দু-এক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে । বেলা বাড়়ার সঙ্গে সঙ্গে গুমোট গরম অনুভূত হবে । এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে ।
বৃষ্টি কমলেও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে । মঙ্গলবারের পর বুধবারও ডিভিসি এক লাখ ৭০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ে । দামোদর নদের আশেপাশের এলাকা জলে ডুবে গিয়েছে । ঘরছাড়া বহু মানুষ । ধান, সবজির ক্ষেত সব জলের তলায় ।
বুধবারই বানভাসী জেলাগুলির পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী । তাঁর অভিযোগ, গত ১৫ বছরে এই প্রথম সব থেকে বেশি জল ছাড়া হয়েছে ডিভিসি থেকে। রাজ্যের তরফে বারবার এই ব্যাপারে অনুরোধ করা হয়েছিল ডিভিসিকে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, রাজ্যের কথা কানেই তোলা হয়নি। আর এই কারণে পুজোর আগে বাংলাকে ফের ম্যান মেড বন্যার মুখে পড়তে হল। অর্থাৎ আবারও একবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী ।