মরশুমের প্রথম কালবৈশাখীতেই বিপত্তি। শনিবার সন্ধে থেকে রাত পর্যন্ত চলা কালবৈশাখীর জেরে রাজ্যে চার জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে বাজ পড়ে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া পুরুলিয়া এবং খড়গপুরেও এক জন করে প্রাণ হারিয়েছেন। এদিকে বেশ কিছু জায়গায় ট্রেনের ওভার হেডের তার ছিঁড়েও বিপত্তি দেখা দিয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় কালবৈশাখীর সঙ্গে বৃষ্টি নামে কলকাতা-সহ শহরতলিতে। এই মরশুমে কলকাতায় এই প্রথম কালবৈশাখী হল। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী বুধবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়াও হতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
শনিবার সন্ধ্যায় সর্বোচ্চ ৬৪ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া চলে কলকাতায়। রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কলকাতায় ১১.৩ মিলিমিটার, দমদমে ২৭.৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দমকা হাওয়ার ফলে শেক্সপিয়র সরণি এবং সন্তোষ রায় রোডে দু’টি গাছ উপড়ে যায়। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, দু’টি গাছই সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে।
শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় যাদবপুর-ঢাকুরিয়ার মাঝে গাছ ভেঙে পড়ে বন্ধ ট্রেন চলাচল। এছাড়া আরামবাগের কাছে ট্রেনের প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে বিপত্তি। জানা গিয়েছে, সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ তারকেশ্বর-আরামবাগ লাইনে মায়াপুরের কাছে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কোনও ট্রেন এই মুহূর্তে আরামবাগ পর্যন্ত চলছে না। হাওড়া-বর্ধমান লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত। হাওড়া থেকে শিপ্রা এক্সপ্রেস ছাড়ার পর তিনবার থমকেছে।