ইনস্টাগ্রামে(Instagram) পরিচয়ের পর বিয়ে। তবে বিয়ের দেড় মাসের মধ্যেই মোহভঙ্গ হয়েছিল যুবকের। স্ত্রীর বান্ধবীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বসেন তিনি। বান্ধবীর প্রতি স্বামীর আসক্তি জানতে পেরে তাঁকে খুনের(Murder Plan) ছক কষেন স্ত্রী। তাতে শামিল হয়েছিলেন সেই বান্ধবী এবং তাঁর স্বামীও।
চলতি মাসের গোড়ায় হুগলির শ্রীরামপুরে(Sreerampore Murder Case) এক যুবকের মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধারের পর তদন্তে নেমে এমনই অনুমান তদন্তকারীদের। ওই যুবককে খুনের অভিযোগে রবিবার তাঁর স্ত্রী, বান্ধবী এবং বান্ধবীর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মুণ্ডহীন দেহটি কার, তা জানতে প্রথমে বেগ পেতে হয়েছিল তদন্তকারীদের। শ্রীরামপুর থানার(Sreerampore Police Station) আইসি দিব্যেন্দু দাসের নেতৃত্বে একটি তদন্তকারী দল গঠন করা হয়। আইসির সঙ্গে থানার দুই এসআই সৌমেন নাথ এবং অনিমেষ হাজারি তদন্ত শুরু করেন। খড়দহ থানা(Khardah Police Station) থেকে খবর পেয়ে শ্রীরামপুর মর্গে মৃতদেহের হাতের ট্যাটু দেখে দেহ শনাক্ত করেন শুভজ্যোতি বাবা ধ্রুবজ্যোতি বসু।
আরও পড়ুন- Ankita Adhikary : পরেশ কন্যা অঙ্কিতার স্কুলে পৌঁছল হাইকোর্টের চাকরির বরখাস্তের কপি
এরপরেই উত্তরপাড়ায় অভিযান চালায় পুলিশ। রবিবার শুভজ্যোতির স্ত্রী পূজা ও তাঁর বান্ধবী শর্মিষ্ঠাকে আটক করে চলে জেরা। পেশায় গাড়িচালক সুবীর-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার তিন জনকেই শ্রীরামপুর আদালতে(Sreerampore Court) পেশ করা হবে। ডিসির দাবি, খুনের প্রাথমিক কারণ জানা গিয়েছে।
পরিবার সূত্রে খবর, পেশায় যৌনকর্মী উত্তরপাড়ার চন্দনা চট্টোপাধ্যায় ওরফে পূজার সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে পরিচয় হয়েছিল শুভজ্যোতির। ১৩ মার্চ পূজার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তবে বিয়ের কয়েক দিন পর পূজা তাঁর বান্ধবী শর্মিষ্ঠা অধিকারীর বাড়ি উত্তরপাড়ায়(Uttarpara) চলে যান। স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে মাঝেমধ্যে উত্তরপাড়ায় যেতেন শুভজ্যোতি। ১ মে পূজার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। পরের দিন শ্রীরামপুর(Sreerampore) থেকে তাঁর মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হয়।
তদন্তকারীদের দাবি, পূজার বান্ধবী শর্মিষ্ঠাকে কুপ্রস্তাব দেওয়াতেই শুভজ্যোতিকে খুনের পরিকল্পনা করেন তিন জন। স্ত্রীর সঙ্গে অন্য কারও সম্পর্ক মানতে পারত না সুবীর। এর আগে বরাহনগর থানা(Baranagar Police Station) এলাকায় একই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিল সে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে শর্মিষ্ঠাকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ায় এক জনকে চপার দিয়ে কুপিয়েছিল সুবীর। যুবকটি প্রাণে বেঁচে গেলেও সুবীর জেল খাটে। গত মাসে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে সে।