ঘরের ছেলে ফিরে এল ঘরে। পরিবারের সদস্যদের স্বস্তির শ্বাস! যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে পড়েছিলেন রাজ্যের চার ডাক্তারি পড়ুয়া। সরকারের সহায়তায় তাঁরা শেষমেশ ফিরতে পারলেন নিজের বাড়িতে।
পরিবারকে দেখতে পাওয়ার আসাটাও ছেড়ে দিয়েছিলেন, মৃত্যু সবসময় কাছ থেকে হাতছানি দিচ্ছিল। ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফিরে চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ নিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার মাজদিয়া ষষ্ঠী তলার বাসিন্দা অরিন্দম বিশ্বাস। অরিন্দমের বাবা সেনা বিভাগের কর্মী। মাত্র ৪ বছর আগে ইউক্রেনে গিয়েছিলেন অরিন্দম।
অন্যদিকে, শুক্রবার গভীর রাতে ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফিরলেন পূর্বস্থলীর চুপি এলাকার ডাক্তারি পড়ুয়া শেখ আকিব মহম্মদ। তিনি ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়ার জন্য গিয়েছিলেন। ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের মধ্যে সেখানেই আটকে পড়েন। বেশ কয়েক কিলোমিটার হেঁটে, তারপর ট্যাক্সি এবং পরে ট্রেনে করে বেশ কিছুটা পথ পেরিয়ে পোল্যান্ডের সীমান্তে পৌঁছান। এর পরই বিমানে করে গতকাল রাতেই বিমানে দিল্লিতে নামে। তারপর কলকাতা হয়ে এদিন শুক্রবার গভীর রাতে পূর্বস্থলীর বাড়ি।
দীর্ঘ উৎকণ্ঠার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে বসিরহাটের বাড়িতে ফিরলেন ডাক্তারি পড়ুয়া অর্পণ মন্ডল। একমাত্র ছেলেকে ফিরে পেয়ে আনন্দে মিষ্টি খাওয়ালেন মা। ছেলে ফিরে আসায় সরকারকে ধন্যবাদও জানালেন ওই পড়ুয়ার বাবা-মা।
২০১৯ সালে ডাক্তারি পড়ার জন্য বারুইপুরের সৈয়দ মুস্তাকিন আহমেদ যান ইউক্রেনের কিয়েভে। এই বছর তাঁর ফোর্থ ইয়ার চলছিল। আরও ২ বছর পড়া বাকি ছিল। বাড়ি ফিরে এলেও কেরিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তিনি। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার কোনও ব্যবস্থা নিক, এমন অনুরোধ জানান তিনি।