মৃত্যুর আগে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ। হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সিবিআই তদন্তের দাবি। রবিবার সকালে ঘর থেকে উদ্ধার দুই সন্তান-সহ এক দম্পতির নিথর দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরে। মৃত্যুর আগে মামার বাড়ির লোকদের দোষ দেন ওই দম্পতি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই সন্তানদের খুন করে আত্মঘাতী হন ওই দম্পতি।
দুর্গাপুরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কুরুড়িয়া ডাঙার মিলনপল্লী এলাকার বাসিন্দা অমিত মণ্ডল। যৌথ পরিবারে স্ত্রী রূপা মণ্ডল ও দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন। রবিবার সকালে চারজনের নিথর দেহ উদ্ধার হয়। রূপা পেশায় স্কুল শিক্ষিকা। স্থানীয়রা পুলিশকে দেহ উদ্ধার করতে বাধা দেয়।
রূপা মণ্ডলের পরিবারের অভিযোগ, এটি আত্মহত্যা নয়, খুন। পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছিল অমিত ও রূপাকে। বাড়ির মধ্যে থাকা সিসি ক্যামেরা ও স্ট্রিট লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। অমিতের মা ও মামার বাড়ির সদস্যদের দিকে অভিযোগ। মৃত্যুর আগে অমিতের হোয়াটসঅ্য়াপ ঘিরেও রহস্য বাড়ছে। ওই মেসেজে মৃত্যুর জন্য মামাতো ভাই-বোনদের দায়ি করেছেন অমিত। পরিবারের দাবি, ২০১২ সালে টাকার বিনিময়ে তাঁর মামাতো ভাই-বোনরা স্কুলে চাকরি পেয়েছিলেন।