২১ মার্চের রাতের ঘটনার পর থেকেই শিরোনামে রামপুরহাটের বগটুই (Rampurhat violence)। তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) উপপ্রধান ভাদু শেখের খুনের রাতেই গ্রামের বহু বাড়িতে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল আগুন। উদ্ধার করা হয়েছিল একের পর এক পোড়া দেহ। মূল ঘটনার ১০ দিন পরেও এলাকা একইরকম থমথমে। বগটুই কাণ্ডের পর ওই ঘটনায় জড়িত হিসেবে উঠে এসেছে আনারুল হোসেন সহ শাসকদলের একাধিক নেতার নাম। গ্রেফতার করা হয়েছে আনারুলকে। হাইকোর্টের নির্দেশে আপাতত ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)।
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে (Rampurhat violence) ধৃত তৃণমূল নেতা (TMC) আনারুল হোসেন-সহ ৬ জনকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের। বগটুই মোড়ের সিসিটিভি ক্যামেরার (CCTV) ফুটেজ দেখেই ভাদু শেখ খুনের তদন্তে পুলিশ। ওই ফুটেজকে হাতিয়ার করেই এগোচ্ছে তদন্ত (CBI)। চলছে দফায় দফায় জেরা ও তল্লাশি।
আরও পড়ুন: খুন করা হবে প্রধানমন্ত্রীকে! হুমকি মেলে ঘুম উড়ল NIA আধিকারিকদের
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে (Rampurhat violence) যে সব বাড়িতে আগুন লাগানো হয়, তার সবথেকে কাছের একটি বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করল সিবিআই (CBI)। জানা গিয়েছে, মৃতদের ডিএনএ (DNA test) পরীক্ষা করবে সিবিআই।ময়নাতদন্তের সময়ে ডিএনএ-র নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নিহতদের পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে সেই নমুনা মিলিয়ে দেখা হবে। তারপরই নমুনা দিল্লির ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এছাড়া, বগটুইয়ের ঘটনায় ফের দমকলের ওসিকেও তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
ভাদু শেখ খুনে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত সন্দেহে মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত তিন জনের মধ্যে দুজনের নাম রয়েছে এফআইআর-এর তালিকায়। সঞ্জু শেখ আর সেরা শেখের নাম ছিল ওই এফআইআরে (FIR)। রাজা শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভাসান শেখ ও শেখ শফিক নামের দুজন অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করা হয়।
বগটুইকাণ্ডের (Rampurhat violence) প্রথম দিন থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। রামপুরহাট থানার আইসি-কে সাসপেন্ডও করা হয়। পরে সেই আইসিকে তলব করে সিবিআই। রামপুরহাট হাসপাতাল, বগটুই মোড় ও হাইওয়ে সংলগ্ন এলাকায় সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় রামপুরহাটের এসডিপিওকে এবং দমকল আধিকারিকদের।
আগুন লাগার পর বেঁচে গেলেও পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় নাজেমা বিবি নামে এক মহিলার। সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁর স্বামী অভিযোগ করেন, ভাদু শেখের বেআইনি ব্যবসার ভাগ পেতেন ওসি, আনারুল হোসেন ও অনুব্রত মণ্ডল।
রাজ্য পুলিশের ওপর আর ভরসা করা যাবে না। এ কথা জানিয়ে বগটুই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। অপরদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পর গ্রেফতার করা হয় আনারুল হোসেনকে।
বগটুইতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ যান তৃণমূলের অন্যান্য শীর্ষ নেতারা। সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীর মতো বিজেপি নেতারাও গিয়ে দেখা করেন মৃতদের পরিবারের সঙ্গে। যান কংগ্রেস ও বাম নেতারাও।