যত সময় গড়াচ্ছে, ততই স্পষ্ট হচ্ছে ক্যানিংয়ে তৃণমূল নেতা খুনের রহস্য। ওই পঞ্চায়েত সহস্য-সহ তিন জনকে গুলি করে কুপিয়ে খুন করার ঘটনায় এক ভাড়াটে গুন্ডা জড়িত বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের। বছর দেড়েক আগে একটি হামলার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হওয়ার কারণেই খুন হতে হল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাঝিকে। নিহতের পরিবার সূত্রে এমনই দাবি করা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। শুক্রবারই এলাকায় যায় সিআইডি টিম। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার পাশাপাশি তাঁরা কথা বলেন এলাকাবাসীর সঙ্গেও।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দেড় বছর আগে বাদল নস্কর নামে এক তৃণমূল কর্মীর উপর হামলা চালিয়েছিলেন ওই ভাড়াটে গুন্ডা। ওই হামলার ঘটনা চোখের সামনে ঘটতে দেখেছিলেন গোপালপুরের পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন। সেই থেকেই ভাড়াটে গুন্ডার সঙ্গে স্বপনের শত্রুতার সূত্রপাত। দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করেছিলেন তৃণমূল নেতা। স্বপনের কারণেই ওই দুষ্কৃতী গ্রামে ঢুকতে পারছিলেন না। সেই রাগ থেকে পঞ্চায়েত সদস্যকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করছেন পড়শিরা।
আরও পড়ুন- 3 Men Murder in Canning: ক্যানিংয়ে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সহ ৩ জনকে গুলি করে খুন, তদন্তে পুলিশ
২১ জুলাই কর্মসূচি নিয়ে ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের গোপালপুরে তৃণমূল কার্যালয়ে বৈঠক ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে ওই বৈঠকে যাচ্ছিলেন স্বপন মাঝি। গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য ছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ভূতনাথ প্রামাণিক ও ঝন্টু হালদার। তাঁরা তৃণমূলের বুথ সভাপতি। বৃহস্পতিবার সকালে কচুয়া এলাকার পিয়ার পার্কে দুষ্কৃতীরা পথ আটকে তিনজনকে খুব কাছ থেকে গুলি ছোঁড়ে। বোমাবাজিরও অভিযোগ উঠেছে।