গন্ধেশ্বরী নদীর পাড় ভাঙতেই বেরিয়ে পড়ল গুপ্ত এক সুড়ঙ্গের (Mysterious Tunnel) মুখ। এই রহস্যময় সুড়ঙ্গকে ঘিরেই এখন তুমুল চাঞ্চল্য বাঁকুড়া (Bankura) শহর লাগোয়া রাজাবাগান এলাকায়।
সতীঘাট এলাকা থেকে প্রায় দু’কিলোমিটার দূরে রাজাবাগান এলাকায় এই সুড়ঙ্গের মুখ বেরিয়ে পড়তেই উৎসাহী মানুষের ভিড় আছড়ে পড়ছে গন্ধেশ্বরী নদীর(Gandeswari River) চরে। ইট ও চুন-সুড়কিতে বাঁধানো সুড়ঙ্গ আসলে কোন আমলের, তা এখনও পরিষ্কার না হওয়ায় রহস্য দানা বাঁধছে।
ঘটনার সূত্রপাত দিনকয়েক আগে। স্থানীয় কয়েকজন যুবক নদীর পাড়ে গিয়েছিলেন। তাঁরাই আবিষ্কার করেন, পাড়ের মাটি ধসে বেরিয়ে পড়েছে একটি ইটে বাঁধানো সুড়ঙ্গের মুখ। এরপরেই স্থানীয় যুবকরাই নিজেরাই ওই সুড়ঙ্গে(Mysterious Tunnel) খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করেন।
সুড়ঙ্গর ভেতরে প্রায় কুড়ি ফুট খোঁড়া হলেও তার শেষ পাওয়া যায়নি। চওড়ায় প্রায় আড়াই ফুট ও উচ্চতায় প্রায় সাড়ে তিন ফুট এই সুড়ঙ্গের চারিদিক পোড়া মাটির ইট ও চুন সুরকি দিয়ে বাঁধানো। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করেছে প্রশাসন(Bankura Police Station)। স্থানীয়দের দাবি রহস্যময় এই গুপ্ত সুড়ঙ্গের রহস্যভেদ করার জন্য প্রশাসনিক উদ্যোগে আরও খননকার্য করা হোক।
জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া (Bankura) শহরের সতীঘাট থেকে গন্ধেশ্বরী নদীর চর ধরে কিলোমিটার দুয়েক এগোলেই রাজাবাগান এলাকা। একসময় এলাকায় মানুষের বাস ছিল না। ঘন জঙ্গলে ঢাকা ওই এলাকায় ছিল ডাকাতদের(Dacoits in Bankura) নিত্য আনাগোনা। এখন লোকবসতি বাড়লেও গন্ধেশ্বরী নদীর পাড়ে যাতায়াত করেন খুব কমসংখ্যক মানুষ।