কোনও অ্যাকশন মিস করা যাবে না। কারণ, কেউ যেন ফাঁক গলতে না পারে। তাই ৭৩২ কোণে বসানো হল ১৪৬৪টি অতি সংক্রিয় ক্যামেরা। এভাবেই সুন্দরবনে শুরু হল বাঘ গণনার কাজ। বন কর্তাদের দাবি, টানা ছবি তোলার পর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জঙ্গল থেকে ওই ক্যামেরা নিয়ে আসা হবে। এরপর জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পাতা হবে ট্র্যাপ ক্যামেরা। চূড়ান্ত পর্যায়ে দুটির হিসাব কষেই জানা যাবে নতুন বাঘের সংখ্যা।
২০২২ সালের বাঘ সুমারির রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, সুন্দরবন অঞ্চলে বাঘের সংখ্যা খানিকটা হলেও বৃদ্ধি পেয়েছে। শেষ রিপোর্টে উল্লেখ ছিল, সংখ্যায় সেঞ্চুরি পেরিয়ে ব্যাট করছে এই এলাকার বাঘেরা। প্রতি বছরের মতো নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে এবার নতুন করে বাঘ গোনার কাজ শুরু হল। প্রাথমিক ভাবে, ট্রাপ ক্যামেরা বসেছে ব্যাঘ্রপ্রকল্প এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনবিভাগের নির্বাচিত কয়েকটি অংশে। পরে বসবে বাদাবন অঞ্চলে। শেষ পর্যায়ে সব ছবি মিলিয়ে নতুন হিসাব হবে।
বন কর্তাদের মতে, মাতলা, রায়দিঘি এবং রামগঙ্গা হল বাঘেদের বিচরণ ভূমি। পাইলট পর্বে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এবং মাতলা রেঞ্জ কাজ শুরু হয়েছে। জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে রামগঙ্গা এবং রায়দিঘি রেঞ্জে ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হবে। বন কর্তাদের দাবি, এবারও তারা রাজ্যবাসীকে বাঘ বৃদ্ধির সুখবর শোনাতে পারবেন।