"আমরা বিচার চাইছি। আর কিছুই চাইছি না। যাঁর নাম সুইসাইড নোটে (IISER researcher suicide note) লেখা রয়েছে, তাঁর নামেই অভিযোগ। প্রপার গাইডেন্স পায়নি ও। মানসিকভাবেও প্রেশার দেওয়া হত", বলছিলেন সদ্য পুত্র হারিয়ে স্পষ্টতই বিধ্বস্ত রঞ্জনা রায়। গত সোমবার তাঁর সন্তান তথা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের গবেষক শুভদীপ রায়ের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল তাঁরই ল্যাবরেটরি থেকে।
অন্যদিকে, ফের একবার কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক গবেষকের আত্মহত্যার জেরে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে ছাত্র-গবেষকদের। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের (IISER) কলকাতার এই গবেষকের আত্মহত্যার (Bengali researcher committed suicide) ঘটনা অনেকগুলো প্রশ্ন এক সঙ্গে তুলে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: এখনও অসুস্থ অনুব্রত মণ্ডল, খোঁজ নিতে এসএসকেএমে সিবিআই আধিকারিক
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক গবেষক জানিয়েছেন, ২৯ বছরের বয়সি ওই গবেষক প্রথমে ল্যাবরেটরিতে নিজেই সালফিউরিক অ্যাসিড বানান। তৈরি করেন হাইড্রোজেন সালফাইড। যাতে কোনও কষ্ট না হয় সেজন্য আগেই খেয়েছিলেন কয়েকটি ঘুমের ওষুধ।
আইসার সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে আইসার (IISER researcher committed suicide) কলকাতায় ফিজিক্যাল সায়েন্সে ইন্টিগ্রেটেড পিএইচডি কোর্সে ভর্তি হন শুভদীপ। ২০১৫ থেকে তিনি এক অধ্যাপকের তত্ত্বাবধানে গবেষণা শুরু করেন। অভিযোগ, সেই অধ্যাপক তাঁকে গবেষণার কাজে প্রয়োজনে সাহায্য করতেন না। অভিযোগ করেছেন তাঁর পরিবার ও সহপাঠীদের একাংশের।
'বাধ্য হয়ে' শুভদীপ নিজেই পেপার লিখে (IISER researcher committed suicide) প্রকাশ করতেন বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে তিনি যথেষ্ট মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের কাছে প্রকাশ করেছিলেন। শুভদীপের মা রঞ্জনা রায় মঙ্গলবার দুপুরেই হরিণঘাটা থানার মোহনপুর তদন্ত কেন্দ্রে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।
এক পড়ুয়ার দাবি, এই সিস্টেমের অবিলম্বে পরিবর্তন করা হোক এবং সংস্কার করা হোক। এর প্রভাবেই পড়ুয়ারা চাপে পড়ছে।
রিসার্চ কমপ্লেক্স ও লেকচারার কমপ্লেক্সের সামনে বসে আন্দোলন চালাচ্ছেন গবেষক পড়ুয়ারা (IISER researchers)। তাঁদের একটাই দাবি, অবিলম্বে শুভদীপ রায়ের মৃত্যুতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে উচিত শাস্তি দিতে হবে। শুভদীপের এক বন্ধুর দাবি, “যেখানে সুইসাইড নোটে নাম উল্লেখ রয়েছে, সেখানে পুলিশের পদক্ষেপ করতে অসুবিধা কোথায়? এত ঘণ্টা পরেও কেন কোনও ব্যবস্থা করেনি পুলিশ?” যদিও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।