জনসংযোগে বেরিয়ে ফের বিক্ষোভের মুখে বিধায়ক। বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ এবার তৃণমূলের একাংশের। এবার অভিযোগ, আগ বাড়িয়ে পঞ্চায়েতের প্রার্থী ঠিক করার। রবিবার দিদির দূত হিসাবে জনসংযোগে বেরিয়েছিলেন চূচড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। কিন্তু দু দফায় পোলবার রাজহাট অঞ্চলে তৃণমূলের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। যদিও বিষয়টিকে বিক্ষোভ হিসাবে মানতে চাননি বিধায়ক। নিজেকে অভিভাবক দাবি করে অসিত মজুমদার জানিয়েছেন, মানুষ নিজের মনে কথা জানিয়েছেন। বিধায়কের এই দাবি মানতে নারাজ ওই অঞ্চলের তৃণমূল নেতারা। তাঁদের অভিযোগ, ভোটের দিনই ঠিক হল না। কিন্তু পঞ্চায়েতের প্রার্থী কে হবে, তা আগে থেকে ঠিক করে দিচ্ছেন বিধায়ক।
পঞ্চায়েতের আগে জনসংযোগে গিয়ে এর আগে তৃণমূলের একাধিক সাংসদ-বিধায়কের মুখে পড়েছেন। কিন্তু হুগলিতে অসিত মজুমদারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠছে, তা মারত্মক বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের। কারণ, ইতিমধ্যেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, দাদার পাশে ঘুরলেও এবার পঞ্চায়েতের টিকিট মিলবে না। কারণ, তৃণমূল ঠিক করে ফেলেছে প্রার্থীর মুখ হতে হবে স্বচ্ছ।
এই বার্তার পরেও অসিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে আগ বাড়িয়ে পঞ্চায়েতের প্রার্থী ঠিক করে দেওয়ার। এই ঘটনাকে একযোগে কটাক্ষ করেছে জেলার বাম-বিজেপি। বিরোধীদের দাবি, পোলবার ঘটনাতেই স্পষ্ট পঞ্চায়েতের আগে নিজের জালেই জড়িয়ে গোল খাচ্ছে তৃণমূল। যদিও যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে বিধায়ক অসিত মজুমদারের পাল্টা দাবি, দল বড় হয়েছে, ক্ষোভ-বিক্ষোভ থাকতেই পারে। এটা ছোট ঘটনা।