মদ খাওয়াকে কেন্দ্র করে বচসা। আর সেই বচসার জেরেই এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির আরামবাগের পুরাতন পোস্ট অফিস পাড়া এলাকায়। অভিযুক্ত ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চমীর রাতে অর্থাৎ মঙ্গলবার। মৃত যুবকের নাম দেবাশিস আশ। তাঁর বাড়ি আরামবাগ পুরসভার শ্রীনিকেতন এলাকা। অভিযুক্তের নাম হেমন্ত পাল। যদিও তাঁর এক সঙ্গী পলাতক। লাঠি, রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে কয়েকজন অনুগামীকে সঙ্গে নিয়ে দেবাশিস আশকে পিটিয়ে খুন করেছেন হেমন্ত। ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনা স্থলে হাজির হন আরামবাগ থানার আই সি রাকেশ সিং। বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গিয়েছে,মঙ্গলবার রাতে আরামবাগ পোষ্ট অফিস সংলগ্ন স্থানে মৃত দেবাশিস আশের ভাগ্নে সায়নের সঙ্গে হেমন্ত পালের বচসা হয়। আগে সায়ন ও হেমন্তের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকলেও বর্তমানে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে।
পঞ্চমীর রাতে মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন হেমন্ত। তারপরেই সায়নের সঙ্গে দেখা হয় এবং বচসা শুরু হয়। হেমন্তের সঙ্গে ছিলেন তাঁর সঙ্গী অচিন্ত প্রতিহার এবং স্বর্ণদীপ প্রতিহার। অভিযোগ, সেই সময় সায়নকে মারধরের চেষ্টা করা হয়। এবং সেই খবর পৌঁছয় দেবাশিসের কাছে। দেবাশিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরিবারের অভিযোগ, সেইসময় লাঠি, বাঁশ, রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় দেবাশিস আশকে। অচৈতন্য হয়ে পড়েন তিনি। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝতে পেরে পালিয়ে যান হেমন্ত এবং তাঁর সঙ্গীরা।
এরপর সায়ন ও স্থানীয়দের চেষ্টায় দেবাশিস আশকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে পৌঁছয় পুলিশ।
এদিকে অভিযোগ দায়েরের পরই অভিযুক্ত হেমন্ত পালকে গ্রেফতার করে আরামবাগ থানার IC রাকেশ সিং। এদিকে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময়ই স্থানীয়রা অভিযুক্তকে মারধর করেন বলেও অভিযোগ।
মৃত দেবাশিসের পরিবার ও এলাকার বাসিন্দারা অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন। BJP-র তরফে জানানো হয়েছে, তৃণমূল দলে গুন্ডাদের আশ্রয় পাচ্ছে। তারাই এই কাজ করছে। যদিও তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।