এই বছরের শেষের মধ্য়ে চা শ্রমিকদের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও গ্র্যাচুইটির সমস্যা না মিটলে আগামী বছরের প্রথম দিন থেকে বিজেপির তিন সাংসদ এবং নয় বিধায়কের বাড়ি ঘেরাও করার ডাক দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। রবিবার মালবাজারে তৃণমূলের চা শ্রমিক ইউনিয়নের প্রথম কেন্দ্রীয় সভায় অভিষেকের হুঁশিয়ারি, চা বাগান মালিকরা যদি শ্রমিকদের পিএফ এবং গ্র্যাচুইটি নিয়ে প্রতারণা করেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করে ফৌজদারি মামলা করা হবে। অভিষেকের অভিযোগ, চা ওয়ালা বলে নিজেকে দিল্লির মসনদে প্রতিষ্ঠা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তাঁর আমলেই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশের এবং বিশেষ করে বাংলার চা শ্রমিকরা। এদিনের জনসভায় অভিষেক জানান, বাজাটে চা শ্রমিকদের জন্য যে হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, তার দশ পয়সাও বাগানের উন্নয়নে ব্য়বহার করা হয়নি। তাঁর মতে, বিজেপির আমলে আচ্ছে দিন শুধু এসেছে জন বার্লা, নিশীথ প্রামাণিক এবং জয়ন্ত রায়দের মতো বিজেপি সাংসদের। সাধারণ মানুষের তাতে কোনও লাভ হয়নি।
দীর্ঘদিন ধরেই চা শ্রমিকদের অভিযোগ, তাঁরা ঠিক মতো পিএফ, গ্র্যাচুইটি পান না। এদিনের জনসভায় এই ইস্য়ুকে হাতিয়ার করেই উত্তরবঙ্গের বিজেপি সাংসদ, বিধায়কদের চড়া সুরে আক্রমণ করলেন অভিষেক। তৃণমূলের চা শ্রমিক ইউনিয়নকে তাঁর নির্দেশ নভেম্বর থেকে এর বিরুদ্ধে পথে নামতে হবে। বাগান থেকে শুরু করে জেলার পিএফ অফিসে আন্দোলন করতে হবে। এরজন্য তিনি দু মাস সময় দিয়েছেন। যদি তাতে কাজ না হয়, তাহলে ২০২৩ সালের পয়লা জানুয়ারি ওই অঞ্চলের তিন সাংসদ জন বার্লা, নিশীথ প্রামাণিক এবং জয়ন্ত রায়ের পাশাপাশি নয় বিধায়কের বাড়ি ঘেরাও করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এমনকী ওই আন্দোলনে তিনিও থাকবেন বলেই জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
অভিষেককে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা মনোজ টিগ্গা। তিনি জানিয়েছেন, যে সব চা মালিকদের বিরুদ্ধে তৃণমূল নেতা এফআইআর করার কথা বলছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই কলকাতার বাসিন্দা। তাঁদের বেশ কয়েকজন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের পাড়াতেই থাকেন। এমনকী, বাড়ি ঘেরাও নিয়েও বিজেপি বিধায়কের পাল্টা জবাব, ততদিন জেলের বাইরে অভিষেক থাকবেন তো ?