তাঁর সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক নেই। তবুও তাঁর নামে আবাস যোজনার একটা বাড়ি অনুমোদিত হয়েছিল। কী হবে আরও একটা বাড়ি নিয়ে ? কারণ আরও একটা বাড়ি তৈরি করতে গেলে মেয়ের বিয়ের খরচ আটকে যাবে। তাই একদিন পঞ্চায়েত দফতরে গিয়ে বলে এসেছিলেন এই বাড়ি তাঁর চাই না। বরং যাঁদের বাড়ির প্রয়োজন তাঁদের জন্য এই বাড়ি দিয়ে দেওয়া হোক। রাজ্যে আবাস যোজনায় দুর্নীতি নিয়ে যখন এত অভিযোগ। তার মধ্যেও শেখ হাসিউদ্দিনের মতো ব্যতিক্রমীরা থাকেন। শনিবার কেশপুরের জনসভায় নিজের মঞ্চে সেই হাসিমউদ্দিনকে ডেকে নিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আবাস যোজনা নিয়ে হাসিমউদ্দিনের সততার প্রশংসা করে তিনি ঘোষণা করলেন এবার বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ হাসিমউদ্দিনরাই। এরপর অভিষেক যা করলেন, তা বঙ্গ ইতিহাসে নজিরবিহীন।
কেমন হবে পঞ্চায়েতের মুখ ? গত কয়েকটি জনসভায় এই ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন অভিষেক। শনিবার কেশপুরের জনসভা থেকে তা স্পষ্ট করে দিলেন। এবং জানিয়ে দিলেন গোটা বাংলাতেই তা প্রযোজ্য হবে। শুধু হাসিমুদ্দিন নন, এদিন নিজের মঞ্চে ডেকে নেন আরও দু জনকে। তাঁরা হলে অভিজিৎ দলবেরা ও তাঁর স্ত্রী মঞ্জু। তাঁরা দু জনেই দীর্ঘদিন তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী। তারপরেও কেশপুরে তাঁরা মাটির মানুষ বলেই পরিচিত।
এদিনের জনসভায় দলবেরা দম্পতিকে উদাহরণ হিসাবে দেখিয়ে সেই বার্তাই দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, যাঁরা নিজেদের ছবি না থাকার জন্য ক্ষোভে ফেটে পড়েন, তাঁদের দলবেরা দম্পতিকে দেখে শেখা উচিত। বুথ সভাপতি এবং পঞ্চায়েত প্রধান হয়েও আজও সাধারণের মতো জীবন যাপন করেন অভিজিৎ এবং মঞ্জু। এবং তাঁরাই যে আগামী পঞ্চায়েতে তৃণমূলের মুখ, সেই ঘোষণাই কার্যত শনিবারের কেশপুর থেকে করে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।