বারো বছরে এই প্রথম। প্রায় ৫১ হাজার ভোটে জেতা আসন ২৩ হাজার ভোটে হেরে গেল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি নয়, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুব্রত সাহার এই আসনে জিতল বাম-কংগ্রেস জোট। জোটের এই জয়ের পরেই সিপিএম নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী।
সারদা-নারদার মতো অভিযোগের পরেও রাজ্যে একাধিক নির্বাচন হয়েছিল। প্রতি নির্বাচনেই ব্যবধান বাড়িয়ে জিতেছিল তৃণমূল। কিন্তু এবার কী হল? রাজনৈতিক মহলে ব্যাখ্যা, এবারের সাগরদিঘি উপ-নির্বাচনে বেশ কিছু ফ্যাক্টর একযোগে কাজ করেছে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির প্রভাব এই ফলের উপর স্পষ্ট। কারণ, নিয়োগ দুর্নীতির জেরে অন্যতম প্রভাবিত জেলা এই মুর্শিদাবাদ। সেইসঙ্গে রাজনৈতিক ভাবেও অধীর গড়ে হারানো জমি ফিরে পেয়েছে বাম ও কংগ্রেস। নিজেদের পালে টানতে পেরেছে সংখ্যালঘু ভোটও। যেটা তাদের সুবিধা করেছে ওই এলাকায় বাইরনের নিজের ক্যারিশ্মা। আর তৃণমূলের প্রার্থী বাছাইয়ের ঘটনা।
আরও পড়ুন-
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, গত কয়েক বছর আগেও এই কেন্দ্রে প্রয়াত প্রার্থী সুব্রত সাহার বিরোধী বলেই এলাকায় পরিচিত ছিলেন দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁর উপরেই আস্থা রেখেছিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। যা ভোট মেশিনে প্রভাব ফেলেছে। সেইসঙ্গে, বিজেপির দুই থেকে তিন নম্বর নেমে আসা। গত বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় হয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরের মাফুজা খাতুন। সেই জায়গা এবার হারিয়েছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপির থেকে সেই ভোট বেরিয়ে পড়েছে বাম-কংগ্রেস জোটে ঝুলিতে। মূলত তৃণমূল-বিজেপির ভোট কাটাকাটি বিধানসভার জন্য দরজা খুলল বাইরনের।