গরুপাচার কান্ডে বীরভূম জেলায় প্রথম গ্রেফতার হন অনুব্রতর ব্যক্তিগত দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। সায়গলের বিপুল সম্পত্তির উৎস খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে আসে একাধিক নাম। বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হন স্বয়ং অনুব্রত। কিন্তু সিবিআই তদন্ত শুধু অনুব্রততেই আটকে নেই। জানা গিয়েছে, এবার সিবিআইয়ের আতসকাচের তলায় কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ একাধিক ব্যবসায়ী। তালিকায় রয়েছেন রাজনীতিকও। উল্লেখ্য, অনুব্রতকে গ্রেফতারের দিনই বীরভূমের নাম করা পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলের বাড়িতে হানা দেয় ইডি।
সায়গলকে জেরা করে সিবিআই জানতে পারে টুলুর সঙ্গে গরুপাচার মামলার যোগ রয়েছে। ফলে গরুপাচার মামলায় সন্দেহের তালিকায় ঢুকে গিয়েছেন ব্যবসায়ী টুলু। তাছাড়া তাঁর সঙ্গে জেলার নেতাদের সম্পর্কও ভাল। তাই প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যুক্ত না হয়েও প্রায় প্রতিটি জনসভা আলো করে বসতেন টুলু। সায়গলের সূত্র ধরে ইডি পৌঁছে গিয়েছিল জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খানের বাড়িতেও। সিবিআইয়ের সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন বোলপুর পুরসভার এক কাউন্সিলর। তিনি অনুব্রতের খুব কাছের মানুষ। তাঁর নামে এবং বেনামে নাকি অনুব্রতের সম্পত্তি রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছেন অনুব্রতের এক কাছের ব্যবসায়ী। যিনি জেলার একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার।
জানা গিয়েছে, তদন্তকারীদের সন্দেহ, ওই মেডিক্যাল কলেজেও বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেন হয়েছে অনুব্রতর। উল্লেখ্য, এই মেডিক্যাল কলেজে আর্থিক লেনদেন এবং মালিকানা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ ছাড়াও বোলপুর-সহ বীরভূম জেলার বেশ কয়েক জন বড় এবং মাঝারি ব্যবসায়ীর উপর নজর রাখছে সিবিআই। কেষ্টর নিরাপত্তারক্ষীদের কয়েক জনকেও এই সন্দেহের তালিকায় রাখছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।