পথদুর্ঘটনায় এক পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বাঁশদ্রোণীতে। দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এলাকা এখনও থমথমে। পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ঘটনাস্থলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে পৌঁছন পাটুলি থানার OC। অভিযোগ তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁকে কাদাজলে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছে ওই অফিসারকে উদ্ধার করে।
কী ঘটেছিল?
মহালয়ার দিন সকালে কোচিংয়ে যাচ্ছিল পঞ্চম শ্রেণির এক পড়ুয়া। অভিযোগ, সেই সময় একটি পে-লোডার ধাক্কা মারে তাকে। রাস্তার পাশে থাকা একটি গাছের সঙ্গে তাকে পিষে দেয়। দ্রুত ওই ছাত্রকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাস্তার সারাই কাজ চলার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয়দের বিক্ষোভ
দুর্ঘটনার পর পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, বছরের পর বছর বাঁশদ্রোণী এলাকায় রাস্তার বেহাল দশা। বারবার স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে রাস্তা সারাইয়ের দাবি করেও কোনও লাভ হয়নি। রাস্তার বেহাল দশার জন্যই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। পাশাপাশি প্রশাসনের ব্যর্থতার দিকেই আঙুল তুলেছেন তাঁরা।
কাউন্সিলরের উপস্থিতি
এদিকে কাউন্সিলরের দেখা না পেয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, থানায় আশ্রয় নিয়েছিলেন তিনি। সেইকারণে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। তারপর সেখানে পৌঁছন পাটুলি থানার OC। কিন্তু তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন উত্তেজিত জনতা। অভিযোগ, তাঁকে কাদাজলে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।
এলাকাবাসীদের আরও অভিযোগ, দুর্ঘটনার পর বহিরাগতরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের মারধর করেছে। এমনকি, মহিলাদেরকেও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এক পুরুষ পুলিশের বিরুদ্ধে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর প্রায় ৭ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও দেখা নেই স্থানীয় কাউন্সিলরের। বিক্ষোভকারীদের দাবি, যতক্ষণ পর্যন্ত না কাউন্সিলর তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন ততক্ষণ পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে।