মহিলা অফিসারকে কুমন্তব্য করার ঘটনার জেরে ইস্তফা দিলেন অখিল গিরি। রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকাকে হোয়াটসঅ্য়াপের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন তিনি। যদিও বিধানসভায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর দেখা করার কথা থাকলেও সম্ভবত তাঁদের দুজনের মধ্যে দেখা হচ্ছে না।
সম্প্রতি তাজপুর-শঙ্করপুরে বেআইনি উচ্ছেদ নিয়ে বনদফতরের এক মহিলা আধিকারিককে কুমন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে অখিল গিরির বিরুদ্ধে। এমনকি, 'দেখে নেওয়ারও' হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। গত শনিবার ওই সংক্রান্ত একটি ভিডিয়ো-কে ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়।
এরপরেই তৃণমূলের তরফে অখিল গিরির ওই ব্যবহারের সমালোচনা করা হয়। সূত্রের খবর, তারপর তাঁকে ক্ষমা চাইতে এবং পদত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয় দলের তরফে। তারপরেই রবিবার অখিল গিরি জানিয়ে দেন পদত্যাগ করবেন তিনি। সেইমতো সোমবার সকাল নিজের পদত্যাগপত্র হোয়াটসঅ্য়াপে মুখ্যসচিবের কাছে পাঠিয়েও দিয়েছেন বলে খবর।
বিধানসভায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে পদত্যাগ পত্র দিতে চেয়েছিলেন তিনি। সেইমতো MLA হস্টেল থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পর ফের গাড়ি ঘুরিয়ে ফের হস্টেলে ফিরে যান অখিল গিরি।
এবিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যসচিব তাঁকে হোয়াটসঅ্য়াপে পদত্যাগপত্র পাঠাতে বলেছেন। সেইমতো তিনি নির্দেশ পালন করছেন। হার্ডকপি পরে জমা দেবেন তিনি। তবে ওই মহিলা বন আধিকারিকের কাছে ক্ষমা চাওয়া নিয়ে এখনও নিজের অবস্থানে অনড় অখিল গিরি। কোনও অবস্থাতেই ক্ষমা চাইবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা ছিল অখিল গিরির। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান না বলেই খবর। আর সেই কারণেই হোয়াটসঅ্য়াপে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
এদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত, অখিল গিরিকে মন্ত্রীত্ব পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় এক ঢিলে দুই পাখি মারল রাজ্যের শাসক দল। একদিকে যেমন বিরোধীদের আর মুখ খোলার সুযোগ দেওয়া হল না তেমনই দলের প্রতিও মুখ্যমন্ত্রী যে কড়া তা বুঝিয়ে দেওয়া হল।