জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে একাধিক সরকারি হাসপাতালের সিনিয়র ডাক্তারেরা ‘গণইস্তফা’ দেওয়া শুরু করেছেন। কিন্তু ‘গণইস্তফা’ তা গ্রহণ করবে না। শনিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রাক্তন আমলা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান সার্ভিস রুল অনুসারে, ইস্তফাপত্র ব্যক্তিগত ভাবেই দিতে হয়। গণইস্তফা পদত্যাগপত্র হিসেবে গ্রাহ্য নয়। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, শনিবারের সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে সরকারের তরফে সিনিয়র ডাক্তারদের এই বার্তা দেওয়া হল—যে বৈধ ভাবে ইস্তফা দিলে সরকার তা বিবেচনা করবে। প্রয়োজনে গ্রহণও করবে। প্রশাসনিক আধিকারীকদের কেউ কেউ মনে করছেন, এই ঘোষণার মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হল, প্রয়োজনে রাজ্য সরকার যুদ্ধং দেহি মনোভাব নিতে পারে।
আরজি কর কাণ্ডের পর দশ দফা দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের লাগাতার আন্দোলন চলছে। গত শনিবার থেকে ৬ জন ডাক্তার ধর্মতলার মোড়ে অনশনে বসেন। পরের দিন যোগ দেন আরও একজন। এছাড়া উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে আরও দুজন আমরণ অনশনে বসেন। শুক্রবার ধর্মতলার অনশনে যোগ দেন আরও দুই জুনিয়র ডাক্তার। তাঁদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে মঙ্গলবার আরজি কর হাসপাতালের ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার ‘গণইস্তফা’ দিয়েছিলেন। ধীরে ধীরে সেই আঁচ ছড়িয়ে পড়ছে কলকাতার গণ্ডি ছাড়িয়ে জেলাগুলিতেও।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও গত বুধবার অন্তত ৫০ জন সিনিয়র ডাক্তার ‘গণইস্তফা’ দিয়েছেন। পরপর একাধিক সরকারি হাসপাতালে সিনিয়র ডাক্তারদের ‘গণইস্তফা’-র পর থেকেই সাধারণ মানুষের মনে বিভিন্ন প্রশ্ন জাগতে শুরু করেছিল। গত ৮ অক্টোবর নবান্নে মুখ্যসচিব- স্বাস্থ্যসচিবদের বৈঠকের পরেও ডাক্তারদের গণইস্তফা প্রসঙ্গে স্পষ্ট কোনও মন্তব্য করা হয়নি সরকারের তরফে। অবশেষে শনিবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এই বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।