গত কয়েকদিন স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা দেওয়ার একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছিল। এবার অভিযোগ, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছেন, সেখানকারই এক কর্মী। কিন্তু টাকা নিলেও চাকরি হয়নি। সেই টাকাও ফেরত দেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী ভক্ত মণ্ডলের বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ। বর্ধমান সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। যদিও ভক্ত মণ্ডলের দাবি, এই বক্তব্যের কোনও ভিত্তি নেই। পুরোটাই আক্রোশের জেরে করা হয়েছে।
পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডকোষ থানার মাসিলার বাসিন্দা সুব্রতকুমার সরকার। তাঁর অভিযোগ, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর ছেলেকে চাকরি করিয়ে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন ভক্ত মণ্ডল নামে এই ব্যক্তি। তার বদলে তাঁকে ২ লক্ষ টাকা দিতে হবে। সুব্রত সরকারের দাবি, তিনি নগদ ৪০ হাজার টাকা ভক্তকে দেন। ৪ কাঠার একটি জমি ভক্ত মণ্ডলের কাছেই বিক্রি করেন তিনি। যে জমির দাম হয় ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা।
সুব্রত সরকারের দাবি, ভক্ত নিজের নামে সেই জমির রেজিস্ট্রি করেন। খুড়তুতো এক ভাইয়ের নামে রেজিস্ট্রি করান তিনি। এরপর ২ বছর পার হলেও চাকরি হয়নি। ফেরত পাননি টাকাও। ভক্ত মণ্ডলের কাছে বারবার তাগাদা করে ৫০ হাজার টাকার চেক পান সুব্রত। ভক্ত মণ্ডলকে গোটা বিষয়টি জানান সুব্রত সরকার। পাল্টা টাকা না ফেরানোর হুমকিও দেওয়া হয়। এরপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন সুব্রত সরকার। ভক্ত মণ্ডল জানিয়েছেন, "আমার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। "
যদিও ভক্ত মণ্ডল বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। সুব্রত সরকারদের একটি যৌথ জমি আছে। সেই জমির ছ’জন ভাগীদার। এতদিন সেই জমির সবটাই তিনি একা ভোগ করতেন। বাকি ভাগীদাররা জমি বিক্রি করে দিচ্ছে জানতে পেরে আমি একটি জমি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করি। একটি জমি আমার সঙ্গে ৮০ হাজার টাকায় রফা হয়।”