রাজ্যে প্রথমবার একাদশ শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন ফর্মে লিঙ্গের জায়গায় যুক্ত হল 'তৃতীয় লিঙ্গ'-এর অপশন। সামাজিক বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে সেই অপশন নির্বাচনের মাধ্যমে স্ব-পরিচয়ে রেজিস্ট্রেশন করেছেন প্রায় ৫০০ পড়ুয়া। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এই খবরে উচ্ছ্বসিত বাংলার শিক্ষা মহল।
চলতি বছর সম্পূর্ণ অনলাইনে একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের রেজিস্ট্রেশন হয়। রেজিস্ট্রেশন ফর্মে এই প্রথমবার লিঙ্গ পরিচয়ের জায়গায় মহিলা, পুরুষের সঙ্গে তৃতীয় লিঙ্গের অপশন রাখা হয়। দেখা যায়, কলা, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান – তিনটি শাখাতেই পুরুষ বা মহিলা না লিখে স্ব-পরিচয়ে রেজিস্ট্রেশন করেছেন প্রায় ৫০০ পড়ুয়া। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে খবর, বিজ্ঞান ও বাণিজ্যে তৃতীয় লিঙ্গ হিসাবে রেজিস্ট্রেশন করা পড়ুয়ার সংখ্যা একশোর কম হলেও কলা শাখায় সেই সংখ্যাটা ছাড়িয়েছে চারশোর গন্ডি।
উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে রাজ্যে তৃতীয় লিঙ্গকে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে বহু আগেই। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ফর্মে ‘অন্যান্য’ অপশনের মাধ্যমে তৃতীয় লিঙ্গ পরিচয় জানানোর সুযোগ থাকে। কিন্তু উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের উদ্যোগে স্কুলশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রথমবার এই স্বীকৃতি পেলেন তৃতীয় লিঙ্গের অসংখ্য পড়ুয়া।