১৩ ডেসিবল জমি নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিবাদ। বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী কটাক্ষ করেছেন। বুধবার শান্তিনিকেতনে তাঁর বাড়ি প্রতীচীতে বসে বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের সঙ্গে আলাপচারিতা সারলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। জানালেন, তাঁকে অপমান করা খুব সহজ নয়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগপ্রকাশ করেন অমর্ত্য সেন। জুনের শেষদিকে শান্তিনিকেতনে ফিরেছেন তিনি। এরপরই বিশ্বভারতীর শিক্ষক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য ও বেশ কিছু পড়ুয়া নোবেলজয়ীর সঙ্গে দেখা করেন।
অমর্ত্য সেন বলেন, "এই বাড়িতে ৮০ বছর থেকেছি। এ বাড়ি তোমার নয় বললেন। সেটা নিয়ে আফশোস করার কারণ থাকতে পারে। এরপর উনি বললেন, এই বাড়ির কিছু অংশ তোমার, বাকি নয়। এটা একটা বড় শিক্ষা।"
আরও পড়ুন: ন্যাশনাল লাইব্রেরির ভাষা ভবনে জুড়ল শ্যামাপ্রসাদের নাম, নির্দেশ কেন্দ্রের
বিশ্বভারতীর জমি দখলের অভিযোগ তুলে চিঠি দেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে প্রতীচীতে আসেন। তাঁর হাতে জমির নথি তুলে দেন। এরপরেও বিশ্বভারতী ওই জমি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। ওই দিন অমর্ত্য সেনের পক্ষ থেকে কেউ উপস্থিত ছিলেন না। এরপরই ১৫ দিনের মধ্যে খালি করার নোটিস ঝুলিয়ে দেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে পরে বীরভূমের একটি আদালতে মামলাও হয়।