আমলাশোল...একসময়ে রাজনইতিক কারণে শিরোনামে উঠে এসেছিল ঝাড়গ্রামের এই গ্রাম। অনাহারে মৃত্যুর তালিকায় ওপরে উঠে আসায় ঘনঘন কাগজে উঠত সে গ্রামের নাম।
কল্পনাতীত চরম দারিদ্র ভরা সেই আমলাশোলে লেখাপড়া করা ছিল একরকম বিলাসিতাই। সেখানেই জন্ম এবং বেড়ে ওঠা গোপালচন্দ্র আজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাতত্ত্ব বিভাগে পিএইচডি স্কলার।
বাবা-মা নিজেদের জমিতে চাষ করতেন। বাবার অক্ষরজ্ঞান থাকলেও মায়ের ছিল না। গ্রামে বিদ্যুৎ ছিল না। লণ্ঠনের আলোতেই পড়ে মাধ্যমিক পাশ গোপালের। পঞ্চম শ্রেণিতে বড় স্কুলে ভর্তি, ৪০ কিলোমিটার যাতায়াত করতে হত জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে। স্নাতকোত্তর স্তরে শিক্ষাতত্ত্ব নিয়ে পড়তে যাদবপুরে ভর্তি হওয়া ।
আমলাশোলের ইতিহাসে গোপালই প্রথম পিএইচডি স্কলার। সিনেমার চিত্রনাট্যের চেয়ে কম নাটুকে নয় সে গল্প।