মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতাকে(Ankita Adhikary) চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court)। শুধু তাই নয়, এখনও পর্যন্ত তাঁকে দেওয়া সমস্ত বেতন ফেরতের নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের(Abhijit Ganguly)। দু’টি কিস্তিতে ওই টাকা ফেরানোর নির্দেশ অঙ্কিতাকে।
২০১৮ সালের এসএসসি শিক্ষক নিয়োগে(SSC Teacher Recruitment Scam) দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। অভিযোগ, নিজের পদাধিকার বল প্রয়োগ করে মেয়ে অঙ্কিতাকে চাকরি পাইয়ে দেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী(Paresh Adhikary)। এরপর বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করেন ববিতা সরকার নামক এক চাকরিপ্রার্থী। অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশের পাশাপাশি আদালত জানায়, নিজেকে শিক্ষক হিসাবেও পরিচয় দিতে পারবেন না অঙ্কিতা। আদালতের আরও নির্দেশ, তিনি আর ওই স্কুলে ঢুকতেই পারবেন না।
আরও পড়ুন- Paresh Adhikary: সকালেই নিজাম প্যালেসে এলেন পরেশ অধিকারী, শুক্রবার ফের জেরা সিবিআইয়ের
২০১৮ সালে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায়(SSC Recruitment Corruption) পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikary) মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী পেয়েছিলেন ৬১ নম্বর। আর এই মামলায় মামলাকারী ববিতা সরকার পেয়েছিলেন ৭৭ নম্বর।
কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court) জানায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এই নম্বরের ফারাক আসলে অনেকটা। তার থেকেও বড় কথা হল, ববিতা সরকার পারসোনালিটি টেস্ট দিয়েছিলেন। তাতে ৮ নম্বর পেয়েছিলেন। কিন্তু অঙ্কিতা অধিকারী পারসোনালিটি টেস্টই দেননি। এর থেকেই পরিষ্কার যে অঙ্কিতা অধিকারীকে(Ankita Adhikary) মেধা তালিকায় নিয়ে আসা হয়। মেধা তালিকা তথা ওয়েটিং লিস্টে ২০ নম্বরে ছিলেন ববিতা সরকার। অঙ্কিতাকে ১ নম্বরে ঢোকানোয় ববিতা চলে যান ২১ নম্বরে। এই অবস্থায় মেধা তালিকা থেকে প্রথম ২০ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। ফলে ববিতা বঞ্চিত হন।