২০ মে মন্ত্রী-কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীকে (Ankita Adhikary) চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) । তার ঠিক তিনদিনের মাথায় অঙ্কিতার স্কুলে পৌঁছল কলকাতা হাইকোর্টের বরখাস্তের নির্দেশের কপি (Ankita Adhikary's job removal notice )। সোমবার প্রথমে কোচবিহারের জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিসে হাইকোর্টের এই কপি পৌঁছয় । তারপর অঙ্কিতার স্কুল ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ওই কপি পাঠানো হয় ।
শুধুমাত্র চাকরি থেকে বরখাস্ত নয়, ৪১ মাসের বেতন ফেরত দিতে হবে মন্ত্রী কন্যাকে । দুটি কিস্তিতে বেতন ফেরত দিতে হবে । প্রথম কিস্তির বেতনের টাকা ফেরত দিতে হবে ৭ জুন। পরবর্তী কিস্তির টাকা আগামী ৭ জুলাই মেটানোর জন্য নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট । স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন, এতদিন অঙ্কিতা যে বেতন পেয়েছে, তার হিসেব জমা দেওয়া হবে । সেই অনুযায়ী তিনি টাকা ফেরত দেবেন ।
আরও পড়ুন, CAB invites Mamata : ইডেনে প্লে অফের ম্যাচ দেখতে মমতাকে আমন্ত্রণ সিএবির, সাফল্য কামনা মুখ্যমন্ত্রীর
২০১৮ সালের এসএসসি শিক্ষক নিয়োগে(SSC Teacher Recruitment Scam) দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ । অভিযোগ, নিজের পদাধিকার বল প্রয়োগ করে মেয়ে অঙ্কিতাকে চাকরি পাইয়ে দেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী(Paresh Adhikary)। এরপর বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করেন ববিতা সরকার নামে এক চাকরিপ্রার্থী । ২০১৮ সালে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় অঙ্কিতা অধিকারী পেয়েছিলেন ৬১ নম্বর । আর মামলাকারী ববিতা সরকার পেয়েছিলেন ৭৭ নম্বর ।
কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court) জানায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এই নম্বরের ফারাক আসলে অনেকটা । তার থেকেও বড় কথা হল, ববিতা সরকার পারসোনালিটি টেস্ট দিয়েছিলেন । তাতে ৮ নম্বর পেয়েছিলেন । কিন্তু অঙ্কিতা অধিকারী পারসোনালিটি টেস্টই দেননি। এর থেকেই পরিষ্কার যে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম পরে মেধা তালিকায় ঢোকানো হয় । অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশের পাশাপাশি আদালত জানায়, নিজেকে শিক্ষক হিসাবেও পরিচয় দিতে পারবেন না অঙ্কিতা । আদালতের আরও নির্দেশ, তিনি আর ওই স্কুলে ঢুকতেই পারবেন না ।