গত বছরেও তাঁর গায়ে জ্বল জ্বল করছিল সীতাহার থেকে মটরচূড়। মাথায় টায়রা-টিকলি থেকে কানে মান্তাসা। সবমিলিয়ে ৫৭০ ভরির গয়না। কিন্তু সব যেন শূন্য়। কালীপুজোর রাতে বড় ফাঁকা মনে হল বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসকে। মা ছিলেন, পুজো হল। কিন্তু যেন কোনও প্রাণ ছিল না। আসলে এই পুজোর প্রাণ এখন বন্দি আসানসোলের কারাগারে। তাই অনুব্রত মণ্ডলের কালীপুজো এবার জৌলুসহীন। ৫৭০ ভরির জায়গায় এবার মায়ের গায়ে উঠল মাত্র ৪০ ভরির গয়না।
এতদিন মা কালীকে নিজের হাতেই সাজাতেন কেষ্ট মণ্ডল। এবার পুরোহিত মশাই সাজিয়েছেন ঠাকুরকে। প্রতিমাকে সাজানো হয়েছে শুধু সোনার চেন, হাতে চারটি বালা, টিকলি আর টায়রায়। এই বছর জন্মাষ্টির দিন গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। তাই এই পুজোর প্রাণ পুরুষের অনুপস্থিতিতে কমেছে পুজোর আয়োজন।
গত বছরেও এই পুজোতে ঢালাও লোক খাওয়ানো হত। পাতে থাকত রকমারি পদ। কিন্তু এবার নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল মেরে কেটে ৩০০ জনকে। কমেছে মেনুও। তৃণমূলের এক নেতার কথায়, তাঁরা এবার অভিভাবকহীন। তবুও পুজো বন্ধ করতে দেননি অনুব্রত। তাই সাধ্য়মত চাঁদা তুলেই হয়েছে এই পুজো।
১৯৮৮ সালে নিজের হাতে এই পুজো শুরু করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয় তাঁর পুজো। ২০১৮ সালে প্রথমবার ১৮০ ভরির গয়না নিয়ে প্রতিমা সাজিয়েছিলেন কেষ্ট। তারপর বছর গিয়েছে, বেড়েছে গয়নার বহর। যে গয়না এখন সিবিআইয়ের নজরে।