‘‘নাচব? নাচব নাকি ডেকেছে বলে?’’ বৃহস্পতিবার একযুগ আগের এক মামলায় তলব পেয়ে বিধাননগর এসে এমনটাই জানালেন অনুব্রত মণ্ডল। মঙ্গলকোটের এক সিপিআইএম কর্মীকে বোমা মারার ঘটনায় এবার বিধাননগর কোর্টে হাজিরা দিলেন অনুব্রত। প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে ৫ মার্চ মঙ্গলকোটের লাখুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মল্লিকপুর গ্রামে বোমায় আহত হন সিপিআইএম কর্মী কেবুলাল শেখ। সেদিন তিনি সন্ধ্যায় দলীয় কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। পিছন থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। বোমায় গুরুতর জখম হন তিনি। কেবুলাল ছিলেন সিপিআইএম-এর মঙ্গলকোটের তৎকালীন দাপুটে নেতা ডাবলু আনসারির ঘনিষ্ঠ। বোমার আঘাতে কেবুলালের একটি হাত উড়ে যায়। এই ঘটনায় সেই সময় তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতার নাম জড়ায়। তাঁর মধ্যে অনুব্রত প্রধান। অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও শেখ শাহনাওয়াজ,তাঁর ভাই কাজল শেখ, আজাদ মুন্সি( যিনি বর্তমানে মৃত) ও অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কেরিম খান-সহ ১৫ জনের নামে মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ দায়ের করে সিপিআইএম।
প্রথমদিকে এই মামলা কাটোয়া আদালতে বিচারাধীন ছিল। পরে এমপি ও এমএলএ-দের জন্য কলকাতার বিধান নগরে বিশেষ আদালত গঠন করা হলে, এই মামলাটিকে সেখানে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবারই এই মামলার শুনানি।
আরও পড়ুন- Mamata Banerjee: 'ধর্ম যার যার, উৎসব সবার', পুজোর ধন্যবাদ মিছিলে শহরে ব্যাপক যানজটের আশঙ্কা
অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে নিয়ে সকালে রওনা হন তদন্তকারীরা। বুধবারই বিশেষ আদালত অনুব্রতকে হাজির হওয়ার জন্য আসানসোল জেলে চিঠি পাঠায়।