তিহার জেলে ২ বছর বন্দি থাকার পর অবশেষে গত মঙ্গলবার বোলপুরের নিজের বাড়িতে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। তারপর ফের সেখান থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিলেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা। যাওয়ার পথেই শক্তিগড়ে দাঁড়িয়ে মুড়ি ও শশা খেলেন অনুব্রত।
বীরভূম থেকে রবিবার সন্ধে নাগাদ বের হন অনুব্রত মণ্ডল। প্রায় ঘণ্টা খানেক পর পৌঁছন শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাবে। দাঁড়ায় তাঁর গাড়ি। ল্যাংচা হাবের ভিতরে ঢুকলেও কোনও মিষ্টি, এমনকি ল্যাংচাও খাননি তিনি। পরিবর্তে শশা-মুড়ি এবং চা খেয়ে ফের কলকাতার পথে রওনা দেন অনুব্রত মণ্ডল।
বোলপুরে ফিরে আসার দিনেই অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছিলেন, কলকাতায় চিকিৎসা করাতে যাবেন অনুব্রত মণ্ডল। জল্পনা উঠেছিল কলকাতা সফরেই দেখা হতে পারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।
বেশ কিছু শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন অনুব্রত । সেই কারণেই চিকিত্সার জন্য কলকাতায় এসেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
যদিও শক্তিগড়ে দাঁড়িয়ে অনুব্রত মণ্ডল জানিয়ে দিলেন, চিকিৎসা করিয়েই ফিরে আসবেন তিনি। দুর্গাপুজোর সময় নিজের বাড়িতেই থাকবেন। এবং উৎসব কাটলে তবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করবেন।
একই সঙ্গে শারদীয়া শুভেচ্ছা জানান অনুব্রত মণ্ডল। শুভেচ্ছাবার্তায় তিনি জানান, সবাই ভালো করে দুর্গাপুজো কাটান। মানুষের পাশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন।
২০ সেপ্টেম্বর গরুপাচার তদন্ত মামলায় ইডির করা মামলা থেকে জামিন পেয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডল। দিল্লির আদালত জানিয়েছে, গরুপাচারে অনুব্রত আর্থিক ভাবে সুবিধা পেয়েছেন, সেই অভিযোগ ইডি প্রমাণ করতে পারেনি। এর আগে, সিবিআই মামলাতেও কেষ্টকে জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
অনুব্রত মণ্ডলের পাশাপাশি তাঁর মেয়েকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত আর্থিক সঞ্চয়ের অভিযোগ উঠেছিল। যদিও তাঁকেও জামিন দিয়েছে দিল্লির আদালত।