কথা ছিল বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ক্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূলে ফিরবেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। সেইমতো প্রায় দেড় ঘণ্টা আগে তিনি হাজির হন আলিপুরের এক পাঁচতারা হোটেলে। মূলত সেখানেই অর্জুনকে অপেক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরমধ্য়ে নিজের দফতরে ঢুকেই উত্তর ২৪ পরগনার হেভিওয়েট নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তারমধ্য়েই ক্য়ামাক স্ট্রিটের অভিষেকের দফতরে হাজির হন অর্জুন। তৃণমূলের বারাকপুর সাংগঠিনক জেলা সভাপতি পার্থ ভৌমিক, বারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী এবং জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিকদের মতো সিনিয়র নেতাদের নিয়ে অভিষেক বৈঠক গড়িয়ে যায় প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময়। এসবের মধ্য়েই অর্জুন সিংয়ের ফেসবুকে ভেসে ওঠে গলায় তৃণমূলের উত্তরীয় পরা ছবি।
আর তৃণমূলে যোগ দিয়েই প্রাক্তন দল বিজেপিকে এক হাত নিলেন সাংসদ অর্জুন সিং। তোপ দাগলেন সেই পাট শিল্পকে হাতিয়ার করেই। অর্জুনের অভিযোগ, রাজ্যের ৬২টি জুট মিলের মধ্যে বেশ কয়েকটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বোঝাতে চেষ্টা করেছিলেন। তার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত নভেম্বর মাসে চটকল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন। তিনি এই শিল্পে নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। এই খবরটা পাওয়ার পর থেকে তাঁর লড়াই শুরু হয় বলেও এদিন ফের দাবি করেন অর্জুন। সামান্য, ২৫ শতাংশ আদায় করা গিয়েছে। কিন্তু ৭৫ শতাংশ বাকি রয়েছে। অর্জুনের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যদি লড়াই না লড়তে পারেন তা হলে রাজ্যের আরও ক্ষতি হবে।
এদিন রাজ্যে বিজেপির সংগঠন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অর্জুন। তাঁর অভিযোগ, শুধু ফেসবুকে সংগঠন করা যায় না। স্রেফ এসি ঘরে বসে রাজনীতি করা যায় না। মাঠে ময়দানে নেমে রাজনীতি করতে হবে। তাঁরা এক সময় তৃণমূল স্তরে নেমে লড়াই করে সিপিএমকে হারিয়েছেন। এই জন্যই রাজ্য বিজেপির গ্রাফ নামছে। বাংলার উন্নয়নকে কিছু মানুষ রাজনীতি করে আটকে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তখন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এর পর তাঁদের সঙ্কেত পেয়ে ঘরের ছেলে হয়ে ঘরে ফিরে এলেন।