এবছর অনেক ক্লাব বারোয়ারিই ফিরিয়ে দিয়েছে পুজোর অনুদান। আসানসোলের বার্নপুরের পুরানোহাট সার্বজনীন দুর্গা পুজো কমিটিও এই তালিকার একটি ক্লাব। এই পুজো সম্পূর্ণ ভাবে মহিলা পরিচালিত। পুজোতে এবারে থাকবে আরজি করের নির্যাতিতার জন্য বিচারের দাবি। পুজোর মণ্ডপে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন ও নির্দিষ্ট সময়ে মৌনব্রত পালন করবেন। থাকবে না কোনও আলোর ঝলকানি, থাকবে না মণ্ডপ সজ্জাও। বাজবে না মাইক।
১৭ বছর ধরে মহিলারা দায়িত্ব নিয়ে এই পুজো চালাচ্ছেন। এবার একেবারে আড়ম্বরহীন, জাঁকজমকহীন ভাবে মায়ের আগমন হবে। বিচারের দাবিতে অনড় থেকে পুজোটুকু সারবেন তাঁরা। গত ১৭ বছর ধরে পুজো শারদ উৎসব আয়োজন করে চলেছেন বার্ণপুর পুরানহাটের জনা চল্লিশেক মহিলা।
কমিটির সম্পাদিকা রাখি দত্ত বলেন, ‘বিবেকের দংশনে ভুগছি। নির্যাতিতার বিচার চাওয়া ছাড়া সরকারের কাছে আর কিছুই চাওয়ার নেই। তাই সরকারি অনুদান ফিরিয়েছি।’ অত্যন্ত নমনীয় কিন্তু দৃঢ়তার সঙ্গে পুজোর অনুদান ফেরাতে পেরে তৃপ্ত পুজো কমিটির সদস্যরা।
উদ্যোক্তাদের দাবি, সরকারি অনুদান ফিরিয়ে তাঁরা স্থানীয়দের হাজারো অভিনন্দন পেয়েছেন। গতবারের তুলনায় এবার বেশি চাঁদা দিচ্ছেন। তবুও তাঁরা একজোট রয়েছেন। ঠিক যেমন গত ১৪ আগষ্ট একজোট হয়ে পথে নেমেছিলেন। বিবেকের এই লড়াইতে অষ্টমীর পুস্পাঞ্জলি শেষে বিশেষ প্রার্থনাসভার আয়োজন করেছেন তাঁরা।