তিন পুরুষ ধরে গঙ্গাজলের ব্যবসা। এখনও গঙ্গাজল বেঁচেই চলছে অশোক হালদারের সংসার। রানাঘাট মূল শহরের থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে গঙ্গা যেতে হয় চূর্ণী নদী পেরিয়ে। সেই জল তুলে এনেই ২ থেকে ৩ টিকার লিটার পিছু বিক্রি করেন তিনি। ঠাকুর দাদা নন্দলাল হালদার , বাবা মোহন চন্দ্র হালদার এবং তিনি অশোক হালদার তিন প্রজন্ম ধরে গঙ্গাজল বেচেই তাঁরা জীবিকা নির্বাহ করছেন। অশোক বাবু ছোট থেকে বাবাকেও এই ব্যবসায় সাহায্য করেছেন। এখন নিজস্ব ভটভটি চালিয়েই তিনি জল তুলে আনেন ভাগিরথীর বলাগড় ঘাট থেকে।
দীর্ঘদিন থেকেই রানাঘাট বাজারে গঙ্গাজল বেচে আসছেন অশোক বাবু। ১০ লিটারের দাম ৩০ টাকা। নির্ঝঞ্জাট বিশুদ্ধ গঙ্গা জল পেতে ভরসা তিনিই। ছেলেকে লেখাপড়া শিখিয়ে তিনি গতি করেছেন গঙ্গাজল বেচেই৷ বিক্রেতা অশোক হালদার জানাচ্ছেন, শ্রাদ্ধ উপনয়ন বিবাহ যেকোনো পুজো সর্বত্রই লাগে গঙ্গাজল। বহু পূর্বে তিন পুরুষ আগে ঠাকুর দাদা চালাতেন নৌকা, তিনিই সমগ্র রানাঘাটবাসীকে এনে দিতেন গঙ্গাজল।