ওজন ১০২ কেজি৷ দশাসই চেহারার জন্য টিপ্পনীও শুনতে হয় নিয়মিত। অস্ত্র বলতে জং ধরা মান্ধাতার আমলের রিভলভার। তাই নিয়েই কামাল করলেন রানাঘাট থানার এএসআই রতন রায়। চারজন লাঠিধারী পুলিশকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে তাড়া করে ধরলেন অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত ডাকাতদলকে। অসম লড়াই লড়ে জেতার ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে নেটমাধ্যমে। 'পুলিশের মর্যাদা' রক্ষা করে 'হিরো' হয়ে গিয়েছেন রতনবাবু।
মঙ্গলবার দুপুর ৩টে ১০ মিনিট নাগাদ থানায় টেবিল ডিউটিতে ছিলেন ব্যারাকপুর সেন্টারের ১৯৯৬ ব্যাচের কনস্টেবল থেকে সদ্য পদোন্নতি পাওয়া এএসআই রতন। সেই সময় থানায় ফোন করে গয়নার শোরুমের এক নিরাপত্তারক্ষী জানান, দোকানে ডাকাত পড়েছে। এক মুহূর্ত দেরি না করে লাঠিধারী কনস্টেবলদের নিয়ে ছুটে যান রতনবাবু। পুলিশ এসেছে বুঝতে পেরেই অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র থেকে পর পর তিন রাউন্ড গুলি ছোড়ে ডাকাতরা। ভয় না পেয়ে পকেট থেকে মান্ধাতার আমলের রিভলভার বের করে চার রাউন্ড গুলি চালান রতন। দু'টি গুলি লাগে দু'জন ডাকাতের পায়ে। তারা লুটিয়ে পড়ে। ততক্ষণে হাজির হয়েছেন অন্য পুলিশকর্মীরা। আহত দুই ডাকাত-সহ মোট চার জন গ্রেফতার হয়। উদ্ধার হয় দুটি মোটর বাইক, নগদ তিন লক্ষ ৭০ হাজার টাকা, চারটি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র, একাধিক ভুয়ো-নথি।
Robbery: জোড়া ডাকাতির তদন্তে আংশিক সাফল্য, কেন নদিয়া-পুরুলিয়া রহস্যভেদে মরিয়া পুলিশ
রতনবাবুর বাবাও অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্মী। স্ত্রী এবং দুই সন্তান থাকেন মুর্শিদাবাদের লালবাগের বাড়িতে। অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রের সামনে জং ধরা রিভলভার নিয়ে ভয় করেনি? মোটাসোটা রতন বলেছেন, "একটাই কথা মাথায় ঘুরছিল— পুলিশের সম্মান।’’