বিজেপি ছাড়লেন কাঞ্চনা মৈত্র । নিজের ফেসবুক হ্যান্ডেলেই দল ছাড়ার ঘোষণা করেছেন অভিনেত্রী । তাঁর কথায়, তিনি কাজ ও পরিবারকে সময় দিতে চান, তাই আপাতত রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে চান তিনি । এই খবরের মাঝেই বড় দাবি করলেন কুণাল ঘোষ । তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন শাসক দলের একাধিক নেতা মন্ত্রী। গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে এযাবৎ বিভিন্ন সভায় এমনটাই দাবি করতেন রাজ্যের বিজেপি নেতারা। কিন্তু আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর এবার বিজেপিকে পাল্টা চাপে ফেলে দিল রাজ্যের শাসকদল। সোমবার তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ দাবি করলেন, কমপক্ষে ১৩ জন বিধায়ক এবং ছয় সাংসদ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসার জন্য পা বাড়িয়ে আছেন। এই দাবির পাশাপাশি কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, আসল সংখ্যা কত তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন তৃণমূল মুখপাত্র দাবি করেছেন, গেরুয়া শিবিরের বিধায়ক, সাংসদরা এখন বুঝতে পারছেন গোটা রাজ্যের স্পন্দন। তাঁরা অনুভব করছেন এলাকার মানুষই বিজেপিকে আর চাইছেন না। কুণাল ঘোষের দাবি, তাই এবার বিজেপির সাংসদ-বিধায়করা মানুষের সঙ্গে থাকতে চান। আর মানুষের পাশে থাকতে হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে থাকতে হবে। তাই কমপক্ষে ১৩ জন বিধায়ক ও ছয় সাংসদ চাইছেন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলবদলের এই জল্পনাকে অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। গেরুয়া শিবির থেকে তৃণমূলের এই দাবি মানতে নারাজ। রাজ্য বিজেপির একটি সূত্রে দাবি করা হয়েছে, সুমন কাঞ্জিলালের ঘটনাকে সামনে রেখে রাজ্যবাসীর কাছে ভুয়ো খবর প্রচার করা হচ্ছে।