অঙ্কিতার চাকরিটা তাঁরই পাওয়া উচিত, শুক্রবার হাই কোর্টের নির্দেশের পর একথা বলেন ববিতা সরকার। উল্লেখ্য, শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্ট শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতাকে স্কুল শিক্ষিকার চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয়। আদালতের সেই নির্দেশে খুশি ববিতা। তিনি এদিন ববিতা বলেন, ‘‘ওই চাকরিটা আমারই পাওয়া উচিত।’’
২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসেছিলেন ববিতা। সেই পরীক্ষার মেধা তালিকা ২০১৭ সালে প্রকাশিত হয়। ববিতার নাম প্যানেল লিস্টে ছিল না। তাঁর নাম ছিল ওয়েটিং লিস্টে। পরবর্তীতে ওয়েটিং লিস্ট প্রকাশের দাবিতে আদালতে মামলা করেন একাধিক পরীক্ষার্থী। আদালতের নির্দেশে এসএসসি ওয়েটিং লিস্ট প্রকাশ করে। সেখানে ববিতার নাম ছিল ২০ নম্বরে। কিন্তু পরবর্তীতে পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার নাম সেই তালিকায় ঢোকায় ববিতার নাম ২১ নম্বরে নেমে যায়। ববিতা বলেন, ‘‘তালিকা অনুযায়ী আমার চাকরি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তালিকার প্রথমে অঙ্কিতার নাম ঢুকে যাওয়ায় আমার চাকরি হল না। তাই আমি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি।’’ উল্লেখ্য, এসএসসি-র পঞ্চম কাউন্সেলিং হয়ে গেলেও ববিতার আর চাকরি হয়নি।
Ankita Adhikary: পরেশ-কন্যাকে বরখাস্তের নির্দেশ হাইকোর্টের, কেড়ে নেওয়া হল 'শিক্ষিকা' পরিচয়
শুক্রবার পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতাকে শিক্ষিকার চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। আদালতের এই রায়ে ববিতা খুশি, কিন্তু একই সঙ্গে তাঁর গলায় উদ্বেগেরও সুর। তিনি বলেন, ‘‘ও (অঙ্কিতা) তো ইন্টারভিউ দেয়নি। ওর চাকরি হওয়ার কথাই ছিল না। আমি সমস্ত প্রক্রিয়া মেনে পরীক্ষা দিয়ে জায়গা করে নিয়েছিলাম। ওই চাকরিটা আমারই পাওয়া উচিত। কিন্তু আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে তা কি শেষ পর্যন্ত কার্যকরী হবে?’’
শিলিগুড়ির বাসিন্দা ববিতার পরিবারে রয়েছে স্বামী সঞ্জয় এবং দুই সন্তান। গত পাঁচ বছর ধরে তিনি প্রভাবশালী বিপক্ষের সঙ্গে আইনি লড়াই লড়ছেন। কিন্তু তিনি সেই লড়াইতে সর্বদা পাশে পেয়েছিলেন স্বামী সঞ্জয় কর্মকারকে। শুক্রবার আদালতের নির্দেশের পর সঞ্জয় বলেন, ‘‘স্ত্রীর জন্য আমি গর্বিত। অবশেষে সত্যের জয় হল। আমরা খুশি। ’’