রাজ্য সরকার তাঁকে বঙ্গবিভূষণ সম্মান দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তা নীরবে প্রত্যাখান করেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। কিন্তু তার এক সপ্তাহের মধ্যেই রাজ্যের প্রাক্তন শাসক সিপিআইএমের দেওয়া মুজফ্ফর আহমেদ স্মৃতি পুরস্কার গ্রহণে সম্মতি জানান স্বয়ং অমর্ত্য। তাঁর বই ‘জগৎকুটির’-এর (Home into the World: A Memoir) জন্য সিপিএমের তরফে মুজফ্ফর আহমেদ স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হয়। নিজে সশরীরে এসে পুরস্কার নিতে না পারলেও তাঁর ‘প্রতীচী’ ট্রাস্টের তরফে মানবী মজুমদারের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতেই বালিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় বিঁধলেন অমর্ত্য সেনকে।
শুক্রবার বাবুল জানান, ”উনি একটি নির্দিষ্ট পথে রাজনীতি করেন, যার সঙ্গে আমাদের রাজনীতির কোনও মিল নেই। উনি ওঁর মত ভাবেন, কাজ করেন। সেসব নিয়ে কিছু বলার নেই। তবে উনি তো পর্যটক। এত বড় অর্থনীতিবিদ হওয়ার পরও বারবার বুঝিয়ে দেন যে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক রঙের বাইরে বেরোতে পারেননি।” নোবেলজয়ীকে নিয়ে বাবুল সুপ্রিয় এহেন মন্তব্যের নিন্দা করেছেন অনেকেই। কারও কারও পালটা কটাক্ষ, বিজেপির লাইনে হেঁটেই বাবুল সুপ্রিয় এধরনের মন্তব্য করেছেন। সম্ভবত ভুলে গিয়েছেন যে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের প্রতি রাজ্য সরকারের স্বতঃস্ফূর্ত শ্রদ্ধা আছে, তা সে যতই তিনি পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করুন না কেন।
আরও পড়ুন- Partha-Arpita Case: ক্রেটের সাহায্যে প্রিজন ভ্যানে উঠলেন পার্থ, ৩ কেজি ওজন কমল প্রাক্তন মন্ত্রীর
অমর্ত্য সেনের রাজনৈতিক সমর্থন অজানা নয়। তিনি বরাবরই বামপন্থী (Left) সমর্থক। এমনকি, মোদী সরকারের সঙ্গেও তাঁর দূরত্ব এতটাই যে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে সরকারের বিরোধিতায় কলম ধরতেও পিছপা হননি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। তাঁর এই ভূমিকার জন্য বিজেপির ছোট, বড় নেতা নানা সময়ে তাঁকে কড়া ভাষায় আক্রমণে বিদ্ধ করেছেন। আবার রাজ্যের তৃণমূল সরকারের সঙ্গে অমর্ত্য সেনের প্রায় সমান দূরত্ব।