এতদিন কার্যত মাঠের বাইরে থাকার পর, অবশেষে তৃণমূলের (Tmc) প্রথম একাদশে খেলার একটা সুযোগ পেলেন বিজেপি (Bjp) থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriya)। রবিবার সকালেই টুইট করে আসানসোল (Asansole) লোকসভা এবং বালিগঞ্জ (Ballygung) বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রয়াত রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ছেড়ে যাওয়া বালিগঞ্জে তাঁর নাম ঘোষণা হতেই আপ্লুত বাবুল। টুইট করে নেত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। গায়ক-রাজনীতিক লিখেছেন, ‘আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দিদি। আপনাকে ধন্যবাদ দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।আপনি আমাকে বাংলার জনগণের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন এবং আপনার উদ্দীপনাময় নেতৃত্ব ও আশীর্বাদে আমি নতুন শক্তি ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে হৃদয় দিয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকব।’
তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর আসানসোলের সাংসদ পদ থেকেও ইস্তাফা দিয়েছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তাঁর আসানসোলে আর এক প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী এবং প্রাক্তন বিজেপি নেতা শক্রঘ্ন সিনহাকে (Satrughna Sinha) প্রার্থী করে গেরুয়া শিবিরকেই পাল্টা চাপে ফেলে দিয়েছেন মমতা। তাই দুই প্রাক্তনী প্রসঙ্গে ভিন্ন সুর বিজেপির অন্দরে। বাবুলের বালিগঞ্জে প্রার্থী হওয়া নিয়ে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘কার চুল এলোমেলো, কার কী এলো গেল!’’ তবে অভিনেতা রাজনীতিককে অন্য রাজ্য থেকে এনে প্রার্থী করা প্রসঙ্গে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির সমীকরণের বিষয়টি উস্কে দিতে চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি-র পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য (Amit Malaviya)। তিনি টুইট করেন, ‘অনুমান করা হয়েছিল যে তৃণমূল আসানসোল থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ দলের যুব শাখার সভাপতি সায়নী ঘোষকে প্রার্থী করবে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর ভাইপোকে ছোট করার জন্য ওই আসনে একজন সম্পূর্ণ বহিরাগতকে প্রার্থী করেছেন। যিনি কেবল আসানসোলই নয়, বাংলার জন্য বহিরাগত।’
শনিবারই রাজ্যে দুই কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ১২ এপ্রিল এই দুই কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে। গণনা হবে ১৬ এপ্রিল।