পাত্র পাত্রী তৈরি, ধুমধাম করে মহাসমারোহে সমস্ত আচার অনুষ্ঠান মেনেই হল বিয়ে। তবে কোনও মানুষের নয় বিয়ে হল গরুর৷ ভাইফোঁটার আগের দিন প্রথা মেনে চলে আসছে এই লোক উৎসব। পশ্চিম মেদিনীপুরের,বাঁকুড়ার বেশ কিছু গ্রামে এই উৎসব পালন করেন গ্রামবাসীরা। তাদের এই অনুষ্ঠান বাঁদনা পরব নামে পরচিত।
এদিন গোয়াল ঘর পরিস্কার করে, করা হয় রঙ। গোবর দিয়ে নিকোনো হয় উঠোন। গরুদের স্নান করিয়ে তারপর তাদের গায়ে ছোপানো হয় রঙ। শিঙয়ে মাখানো হয় তেল। কপালে সিঁদূর পরিয়ে, আঁচড়ে দেওয়া হয় মাথা। এভাবেই সাজিয়ে তোলা হয় গরুকে৷
এই বাঁদনার লোকায়ত অর্থ বন্দনা। অর্থাৎ এটি গোবন্দনার উৎসব। এভাবেই দেওয়া হয় গরুর বিয়ে। কালী পুজোর রাতেই গরু জাগানোর চল রয়েছে। গৃহস্থের গোয়ালে ধামসা, মাদল সহযোগে গরু জাগানো হয়। যারা গরু জাগান তাদের ঝাগড় দল বলা হয়। সিমুলিয়া,দশরথবাটি গ্রামের মানুষরা বলেন, "ছোট থেকেই দেখে আসছি দাদু বাবারা এই বিয়ে দিতেন, আজ আমরা দিচ্ছি। যে গরু সারাবছর সেবা করে। তাদের কিছুটা ফিরিয়ে দিতেই হয়"৷