বাগুইআটির (Baguiati Murder) দুই ছাত্র নিখোঁজ হয়েছে ২২ অগাস্ট । পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয় ২৪ অগাস্ট । ঘটনার প্রায় ১৩-১৪ দিন পর মঙ্গলবার তাঁদের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ । প্রায় ১০ দিনের উপর বসিরহাট (Basirhat Police) মর্গেই পড়েছিল দেহ (Baguiati Students Murder) । আর এখানেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ।
সাধারণত, কোনও নিখোঁজ মামলা হলে আশপাশের থানাগুলিতেও খবর পৌঁছয়। আর নিখোঁজ ডায়েরি হয়েছে কয়েক কিলোমিটার দূর বাগুইআটিতে । সেখানে পর পর দুই কিশোরের দেহ উদ্ধারের পরও বসিরহাট থানার সন্দেহ হল না কেন? উঠছে প্রশ্ন । সবথেকে বড় প্রশ্ন হল, তাহলে কি বাগুইআটি থানার তরফে আশপাশের থানাগুলির কাছে নিখোঁজের খবর দেওয়া হয়নি? বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দাপ্রধান জানিয়েছেন, নিয়ম মেনে সবই করা হয়েছিল। তবে ওই দুই ছাত্র যে খুন হয়ে যেতে পারে তা ধৃত অভিজিতকে জেরার আগে ভাবতে পারেনি পুলিশ । পুলিশের দিকে আঙুল তুলেছে মৃত কিশোরের পরিবার । তাঁরা যদি সঠিক সময়ে কাজ করত, তাহলে তাঁদের ছেলেরা হয়তো বেঁচে যেত ।
মঙ্গলবার দুপুরে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দাপ্রধান বিশ্বজিৎ ঘোষ সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, ওই দুই কিশোর গত ২২ অগস্ট থেকে নিখোঁজ হলেও পুলিশের কাছে ২৪ অগস্ট একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ দায়েরের ১২ দিনের মাথায় প্রথম গ্রেফতারি হয়েছে। গ্রেফতার হন অভিজিৎ বসু নামে এক ব্যক্তি । তাঁকে জেরা করে জানা যায়, ২২ অগাস্ট রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে দুই ছাত্রকে গলায় ফাঁস দিয়ে মেরে ফেলা হয় । ঘটনাটি ঘটেছিল বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে কোনও একটি জায়গায়। এরপর দুই ছাত্রর দেহ নিয়ে গাড়িতে চেপে আরও এগিয়ে যায় অভিযুক্তরা। অনেকটা এগিয়ে গিয়ে, দুটি পৃথক পৃথক জায়গায় খালের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয় ছাত্রদের দেহ। অভিজিৎকে জেরা করে পুলিশের তরফ থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বারুইপুর, কলকাতা, বসিরহাট সহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করা হয় । শনাক্তকরণ হয়নি, এমন কোনও দেহ কোথাও পড়ে রয়েছে কি না, সেই বিষয়ে খোঁজ নেওয়া শুরু হয় । সেই সূত্র ধরেই বসিরহাটের মর্গে তিনটি দেহের খোঁজ পাওয়া যায়, যেগুলির শনাক্তকরণ হয়নি। তার মধ্যে দু'টি দেহ নিখোঁজ কিশোরের ।