আজ, মঙ্গলবার সকাল ৭ টা থেকে বালিগঞ্জ এবং আসানসোল কেন্দ্রে শুরু হল উপনির্বাচন। ভোট গ্রহণ চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। একটি লোকসভা ও অন্যটি বিধানসভা হলেও দুই আসনের ভোট নিয়েই কড়া মনোভাব নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
প্রথমে ১৩৩ কোম্পানি বাহিনী নিয়ে হবে ভোটপর্ব হওয়ার কথা থাকলেও কিন্তু সোমবার কমিশন জানিয়েছে, আরও আট কোম্পানি বাহিনী বাড়ানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে বাহিনী থাকছে ১৩৮ কোম্পানি। ভোট পর্ব শেষ না হওয়া পর্যন্ত দুই কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে বলে আগেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে।
আসানসোলে বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় নির্বাচন হচ্ছে। অন্যদিকে বালিগঞ্জে তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর বিধানসভা ভোট হচ্ছে। সেখানে লড়ছেন বিজেপি থেকে তৃণমূলে আসা বাবুল সুপ্রিয়ই।
অন্যদিকে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র থেকেও তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন শত্রুঘ্ন সিনহা, তিনিও একসময়ে সময় পদ্মশিবিরে ছিলেন। বাবুল এবং শত্রুঘ্ন দুজনেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রির দায়িত্ব সামলেছেন।বিজেপি ছেড়ে আসা এই দুই প্রার্থীকে নিয়ে বাজিমাত করতে চায় ঘাসফুল শিবির।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, বালিগঞ্জের ৩০০টি বুথের মধ্যে ২৩টি স্পর্শকাতর। ১০০ শতাংশ বুথেই CCTV নজরদারি থাকবে। ভোটের নিরাপত্তায় মোতায়েন রয়েছে ১৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রতিটি বুথ ও বুথের বাইরে ২০০ মিটারের মধ্যে থাকবে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রতি বুথে থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ান। ২০০ মিটারের বাইরে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ (West Bengal Police)।
অন্যদিকে, আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রেও, ২ হাজার ১০২টি বুথই স্পর্শকাতর। ৫১ শতাংশ অর্থাৎ, দেড় হাজার বুথে থাকবে ওয়েব কাস্টিং ব্যবস্থা। নির্বাচন কমিশন সূত্রে আরও জানা গেছে, মোট ১৭ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৭৫ জন ভোটার প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন। ভোটের কাজে রয়েছেন ১০ হাজার ৩২৭ জন কর্মী। ৫ জন পর্যবেক্ষকের পাশাপাশি, রয়েছেন ৪৪২ জন মাইক্রো অবজার্ভার।
আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে কোনওদিনই জয় পায়নি তৃণমূল কংগ্রেস। বামেদের থেকে বিজেপি নিয়েছে এই আসন। দোলা সেন, মুনমুন সেনের মতো দুই প্রার্থীই দুবার বিজেপিতে থাকাকালীন বাবুল সুপ্রিয়োর কাছে হেরে গিয়েছেন। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব যাবার পর অনেক জলঘোলা শেষে বিজেপি সংসদ পদ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন বাবুল। ঘটনাচক্রে দুবারের সেই আসানসোল জয়ী বাবুল এবার বিজেপির বিরুদ্ধেই লড়বেন বালিগঞ্জ উপানির্বাচন থেকে। এবং তাঁর ছেড়ে যাওয়া আসনে তৃণমূলের হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বেন তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা।