যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন (Ukraine Crisis) থেকে বাড়ি ফিরলেন বালির বাসিন্দা ডাক্তারি পড়ুয়া অন্বেষা দাস। এখনও চোখেমুখে আতঙ্কের রেশ লেগে আছে। কানে বাজছে যুদ্ধের সাইরেনের শব্দ। কয়েকদিন আগেও ভাবতে পারেননি বাড়ি ফিরতে পারবেন কিনা। ঘরে মেয়েকে ফিরে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা বালির দাস পরিবারও। এখনও আটকে আছে তাঁর বহু বন্ধু। মেয়েকে ফিরে পেয়ে রাজ্য (West Bengal Govt) ও কেন্দ্রীয় সরকারকে (Govt Of India) ধন্যবাদ জানালেন অন্বেষার মা ও বাবা।
হাওড়ার বালির বাড়িতে শান্তিতে বসে মনে হয়, ইউক্রেন হয়তো কোনও দুঃস্বপ্ন ছিল। মনে হয়, অন্য জন্মের স্মৃতি বারবার ধাক্কা মারছে তাঁকে। কিন্তু অস্বীকার করার উপায় কী। এখনও অনেক বন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিস্থিতিতে আটকে আছে যে। কোনও দিন তাঁদের সঙ্গে দেখা হবে কিনা, নিশ্চিত নন অন্বেষাও। সেই স্মৃতি মনে করতে গিয়ে তিনি বলেন, "বাড়ি ফেরার বেশি আশা ছিল না। তবে একটা কোথাও আশা ছিল, হয়তো বাড়ি ফিরতে পারব। ভারতীয় দূতাবাস যেভাবে কাজ করছিল, তারা বাস, বিমান আয়োজন করছে। তাই কোথাও ইতিবাচক ভাবছিলাম, ফিরতে পারব।"
ভারতীয় দূতাবাসকে ধন্যবাদও জানালেন অন্বেষা। তিনি বলেন, "ভারতীয় দূতাবাস আমাদের জন্য যথেষ্ট করেছে। আমরা ওখান থেকে পার করতে পেরেছি, এতে আমরা ভাগ্যবান। আমার অনেক বন্ধুবান্ধবই ওখানে থাকত। যারা মাইনাস টেম্পেরেচারের মধ্যে আছে। আমি কলকাতা ফেরার পর জানতে পেরেছি, ওরা সীমান্ত পেরোতে পেরেছে। ওখানে কোনও শেল্টার থাকে না। মরুভূমির মতো হয়।"
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে রুশ হামলায় প্রথম ভারতীয় ছাত্রের মৃত্যু
অন্বেষাকে ফিরে পেয়ে আপ্লুত তাঁর মা । তিনি বলেন, "খুবই ভালো লাগছে। খুবই আনন্দ। এরকম পরিস্থিতির মধ্যে যে ওকে তাড়াতাড়ি ফিরে পাব, তার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকে ধন্যবাদ। খুবই চিন্তা ছিল। ক্লাসমেটরা অনেকেই স্ট্রাগল করছে। প্রতিটা মায়ের কাছে যেন মায়ের কাছে ফিরে আসুক, এটাই কামনা।" মেয়েকে ফিরে পেয়ে বাবা ডাক্তার অনুপ কুমার দাসও ধন্যবাদ জানালেন রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকে।