রবিবার । ছুটির দিন । বাড়িতে ভাল-মন্দ রান্না না হলে কি চলে ? রবিবারের বাজার মানেই চিংড়ি, পাবদা, মুরগি, খাসি । আবার কারও কাছে কাতলাই স্বর্গসুখ । তবে, সেপ্টেম্বরের শেষ রবিবারের বাজারে কিন্তু, সবাইকে টেক্কা দিচ্ছে রুপোলি সুন্দরী ইলিশ । শনিবারই বঙ্গে আরও ইলিশ ঢুকেছে বাংলাদেশ থেকে । রবিবার বাজার ভরে গিয়েছে পদ্মার ইলিশে । মুখে হাসি ফুটেছে বাঙালির । দাম চড়া হলেও 'মাছে ভাতে' বাঙালি কি পারে ইলিশের থেকে মুখ ফেরাতে ? ইলিশের লোভ সামলাতে না পেরেই আকাশছোঁয়া দরেই ব্যাগ ভরে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছে পদ্মার ইলিশ ।
জানা গিয়েছে, শনিবার দ্বিতীয় দফায় ২৫ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে । যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি হয়েছে পদ্মার ইলিশ । দু'দিনে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮০ টনের কাছাকাছি ইলিশ রপ্তানি করা হয়েছে ভারতে । আরও ২৩৪০ টন ইলিশ রপ্তানি করা হবে ভারতে । বাঙালির পুজোয়, বাংলাদেশের ইলিশ থাকবে না তা কি হয় ? ইলিশ বাংলায় ঢুকতেই রবিবার শহর ও শহরতলির বাজারগুলিতে ভোজনরসিকদের ভিড় জমেছে ।
ওজন ও দাম
বেনাপোল স্থলবন্দরের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র সূত্রে খবর, ইলিশের ওজন ৭০০ থেকে এক কেজির উপরে । কলকাতা, হাওড়া থেকে বারাসত...বিভিন্ন বাজারে ইলিশের দরও আকাশছোঁয়া । জানা গিয়েছে, বাংলার বাজারে বাংলাদেশের ইলিশের দর উঠেছে কেজি প্রতি ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা । ছোট ইলিশ মিলছে ৮০০, ৯০০ টাকায় ।
উল্লেখ্য, গত ১৫ বছর পশ্চিমবঙ্গ পুজোর উপহার হিসেবেই পদ্মার ইলিশ পেয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পড়শি বাংলাকে এই উপহার পাঠাতেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু, তাঁর শাসনকালের পতনের পর এই মুহূর্তে ধুঁকছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে তৈরি হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। শেষ এর অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা এবং ডলার রোজগারের স্বার্থেই পশ্চিমবঙ্গে এবার পুজোয় ইলিশ রফতানিতে সায় দিয়েছে উপদেষ্টা সরকার।
জানা গিয়েছে, ঢাকায় বাণিজ্য মন্ত্রক প্রথমে ভারতে ৩০০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল । পরে তা কমিয়ে করা হয় ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ । মোট ৪৯টি প্রতিষ্ঠান ইলিশ রপ্তানি করবে । তার মধ্যে ৪৮টি প্রতিষ্ঠান ৫০ টন করে ইলিশ রপ্তানি করবে । আর বাকি একটি প্রতিষ্ঠান ২০ টন ইলিশ রপ্তানি করবে ভারতে । ১২ অক্টোবরের মধ্যে ইলিশ রপ্তানি শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে ঢাকায় বাণিজ্য মন্ত্রক ।