হালফিলে রকমারি থিম পুজোর কালে বেশ খানিকটা জৌলুস কমেছে বনেদি পুজোর। তবুও এইসমস্ত পুজোর সঙ্গে লেপটে থাকে ঐতিহ্য, ইতিহাস, পরম্পরা। এমনই বাঁকুড়ার অযোধ্যা গ্রামের বন্দ্যোপাধ্যায় জমিদারবাড়ির দুর্গাপুজো। এই পুজো প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো।
কথিত আছে নীলকর সাহেবদের একেরপর এক মৌজা কিনে সেইসময় ফুলে ফেঁপে উঠেছিল বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার। এরপর ওই গ্রামেই নিজেদের জমিদারি শুরু করে তাঁরা। শোনা যায়, বাঁকুড়া বাদেও হুগলি, অবিভক্ত বর্ধমান ও অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রায় পঞ্চাশটি মৌজার মালিকানা ছিল এই পরিবারের হাতে। কাশি বেনারসের ছিল জায়গা। তবে এই পরিবার নীলকরদের মতো অত্যাচারী ছিলেন না।
Iman Chakraborty: বাড়ির সামনে 'ভাগাড়', জঞ্জালের ছবি-ভিডিয়ো শেয়ার করে ছিছিক্কার ইমনের
জমিদারির বিপুল আয়ে সেসময় অযোধ্যা গ্রামে ক্রমে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশাল জমিদারবাড়ি ও দেবোত্তর এস্টেট। এস্টেটের মধ্যে দ্বাদশ শিব মন্দির, গিরি গোবর্ধন মন্দির, রাসমন্দির, ঝুলন মন্দির ও দুর্গা মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরু হয় দুর্গা পুজোও। এই দেবী সিংহবাহিনী নন , তাঁর অধিষ্ঠান বাঘের উপর। আজও প্রথা মেনে নির্দিষ্ট শিল্পীর হাতেই তৈরি হয় প্রতিমা। আজ সেই একই রকম জাঁকজমক না থাকলেও নিষ্ঠায় কোনও ত্রুটি নেই।