রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো বাঁকুড়াতেও চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)৷ আক্রান্তের সংখ্যা রোজই বাড়ছে এই জেলায়। শুধুমাত্র ১৯ নম্বর ওয়ার্ডেই আক্রান্তের সংখ্যা ১০০-র কাছাকাছি। যা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত বাঁকুড়াবাসী৷ আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তেই ডেঙ্গি মোকাবিলায় কোমর বেঁধে নেমেছে বাঁকুড়া পুরসভা।
কেঠারডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে বেশ কয়েকদিন ধরেই বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু এই বিষয়ে উদাসীন পুরসভা। নালা-নর্দমাগুলো দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার করা হয়নি। যার জেরে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। যদিও শহরে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের তথ্য হাতে আসতেই ডেঙ্গি দমন করতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলেই ,জানিয়েছে বাঁকুড়া পুরসভা।
বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়া পুরসভার তরফে মেডিক্যাল টিম ওই এলাকা পরিদর্শনে যায়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এলাকা ঘুরে দেখেন জনস্বাস্থ্য দফতরের চেয়ারম্যান। ছিলেন ওই এলাকার কাউন্সিলর শেখ আজিজুলও। বাড়িতে ও এলাকায় কোথাও জমা জল রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হয়। এলাকার নর্দমা ও অন্যান্য জায়গা থেকে মশার লার্ভার নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি পুর কর্মীরা এলাকায় মশানাশক স্প্রে করেন।
ওই এলাকার বাসিন্দা রোজনারা বিবি জানিয়েছেন, ডেঙ্গির প্রকোপ রয়েছে এলাকায়। আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা। নিয়মিত ঘরবাড়ি পরিষ্কার রাখেন। তবে, ড্রেনের পাশে বাড়ি হলেও মশারি টাঙান না তাঁরা। পুরসভা থেকেও প্রতি সপ্তাহে ড্রেন পরিষ্কার করা হলেও অনেকেই জল জমতে দেন, নিয়মিত পরিষ্কার করেন না ঘর-বাড়ি ও বাড়ির চারপাশ। সেই কারণেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে।
কাউন্সিলরও জানিয়েছেন, ওই এলাকায় সচেতনতার অভাব রয়েছে। সেই কারণেই ঘুরে ঘুরে ডেঙ্গি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা হয়৷ যারা জ্বরে আক্রান্ত প্রত্যেকের খোঁজ নেন তিনি। সকলকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন। এছাড়াও টোটো করে গোটা এলাকায় মাইকিং করা হয়। পুরসভা সূত্রের খবর, শুধু কেঠারডাঙ্গা এলাকা নয় ডেঙ্গি রুখতে গোটা বাঁকুড়াতেই এই সচেতনতা অভিযান চালানো হচ্ছে।