নির্দেশেই পরেই কাজ।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সাসপেন্ড করা হল পশ্চিম বর্ধমানের বারাবনি থানার সাব ইন্সপেক্টর মনোরঞ্জন মণ্ডলকে। তাঁর বিরুদ্ধে অপেশাদারিত্বের অভিযোগ রয়েছে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কাছে।
টাকার বিনিময়ে রাজ্য বালি থেকে কয়লা পাচারে সাহায্য করছে পুলিশের নিচুতলার একাংশ। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে এই অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীও বটে। পুলিশমন্ত্রীর নিশানায় পুলিশ হওয়ার পরেই তৎপরতা শুরু হয় প্রশাসনিক মহলে। মমতার অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে মিশে পুলিশের একাংশ টাকা খেয়ে চুরিতে সাহায্য করছে। এটা তিনি বরদাস্ত করবেন না।
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই বারবনি থানার এসআইয়ের বিরুদ্ধে কর্তব্য গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। বিভাগীয় তদন্তও চলছিল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, নবান্ন থেকে পুলিশমন্ত্রী কড়া বার্তার পর আর দেরি করতে চায়নি কমিশনারেট।
সাসপেনশনে থাকার সময় মূল বেতনের অর্ধেক পাবেন ওই পুলিশ আধিকারিক। তবে অন্যান্য ভাতা তিনি পাবেন বলে জানানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না-আসা পর্যন্ত ওই এসআই-কে পুলিশের কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্র আসানসোল পুলিশ লাইনে জমা দিতে বলা হয়েছে।
নবান্ন থেকে আরও একটি ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, বদলে দেবেন সিআইডির খোলনলচে। এই বার্তা পাওয়ার পর জেলায় তৎপরতা শুরু করেছে সিআইডিও। একই সঙ্গে রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স এবং দুর্নীতি দমন শাখাকে আরও শক্তিশালী করারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।