উদ্ধার হল বারুইপুরের প্রাক্তন নৌ সেনা কর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তী খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র। সোমবার ডুবুরি দিয়ে ওই সেনা কর্মীর বাড়ির কাছাকাছি একটি পুকুরে তল্লাশি চালাতেই উদ্ধার হয় খুনে ব্যবহৃত করাতটি। নৌ সেনার স্ত্রী এবং পুত্রকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, শ্বাস রোধ করে খুন করার পর উদ্ধার হওয়া ওই করাত দিয়েই সেনা কর্মীর দেহ টুকরো টুকরো করেছিলেন ধৃত জয়।
উজ্জলের শরীরের নিম্নাংশ খুঁজে পাওয়া গেলেও পাওয়া যায়নি তাঁর হাত।কাটা হাত দু’টির খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। সোমবার বারুইপুর-মল্লিকপুর রোডের ডিহি মাদল মল্লো এলাকার ওই পুকুর থেকে কিছুটা দূরে একটি জঙ্গলে উজ্জ্বলের দেহাংশের খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়।
আগে ওই জায়গা থেকেই উদ্ধার হয়েছিল তাঁর শরীরের নিম্নাংশ। শিয়ালের গর্তের কাছ থেকেই পাওয়া গিয়েছিল খণ্ডাংশ। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, শিয়াল নিজের গর্তে টেনে নিয়ে গিয়েছে উজ্জ্বলের কাটা হাতের কাটা অংশ। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রয়োজন হলে ওই হাত উদ্ধার করতে শিয়ালের গর্তেও তল্লাশি চালানো হবে।
পুলিস সূত্রে খবর, উজ্জ্বলের স্ত্রী ও ছেলেকে জেরা করে জানা গিয়েছে, প্রায়ই মদ খেয়ে স্ত্রী ও ছেলের উপর অত্যাচার করতেন উজ্জ্বল । বহুদিন ধরেই ছেলের মধ্যে ক্ষোভ জমছিল । ১৪ নভেম্বর রাতেও অতিরিক্ত মদ্যপান করেছিল উজ্জ্বল চক্রবর্তী । এই নিয়ে বাবা ও ছেলের মধ্যে গণ্ডগোল শুরু হয়, অশান্তি বাঁধে । বাবাকে পাল্টা মারধর করে ছেলে ।
উজ্জ্বলবাবু জ্ঞান হারিয়ে ফেললে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করা হয় তাঁকে । এরপর মাথা-সহ মুখ প্লাস্টিক দিয়ে মুড়িয়ে ফেলা হয় । দেহগুলিকে কাটা হয় ধারালো ওই করাত দিয়ে । দেহের ৫ টুকরো করা হয় । তারপর দেহাংশগুলিকে বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেওয়া হয় । ছেলেকে এই কাজে সাহায্য করেছেন তাঁর মা-ও ।