পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল থেকে মাত্র ৯০ দিনের মধ্যেই বিরোধীদের সাগরদিঘি মডেলকে ধাক্কা দিয়ে গেলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার রাজ্য রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় চমক দিয়ে অভিষেকের ক্যাম্পে এসে তৃণমূলে যোগ দিলেন ওই বিধানসভার কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস। যেহেতু বিধানসভায় একটি আসন ছিল কংগ্রেসের তাই দলত্যাগ আইনে পড়ছেন না বাইরন। বাংলায় কংগ্রেস ফের শূন্য হতেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া, বাইরনকে ভয় এবং প্রলোভন দেখিয়ে এই দলবদল করানো হয়েছে। কারণ, এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি।
অধীরের অভিযোগ, ধমকে-চমকে অন্য দল ভাঙানোই তৃণমূলের সংস্কৃতি। তাই বাইরন হাতে বাইরে বেরিয়ে গেলেও, মুর্শিদাবাদ যায়নি বলেই পাল্টা হুমকি অধীরের। তিন মাস আগে সাগরদিঘি উপর্নিবাচনে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হিসাবে বিধানসভায় গিয়েছিলেন পেশায় বিড়ি ব্যবসায়ী বাইরন বিশ্বাস। অধীরের দাবি, জেলা নেতৃত্বের সম্মতিতে বাইরনকে ওই কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছিল। ভোট প্রচারে গিয়ে বাইরনের সঙ্গে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দেখিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা রাজ্য-রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্র হয়েছিল।
অভিযোগ করা হয়েছিল, বাইরনকে জেতাতে নিজেদের ভোট ছেড়ে দিয়েছিল বিজেপিও। যা গেরুয়া শিবির অস্বীকার করে। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছিলেন, মুসলিম অধ্যুষিত সাগরদিঘিতে তাদের থেকে মুখ ফিরিয়েছিলেন ভোটাররা। তাই তারা হেরে গিয়েছিলেন।